অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবে মিনি স্কার্ট পরে জনসমাগমস্থলে হেঁটে গেছেন এক তরুণী। তাঁর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে। আর এ নিয়েই চলছে তোলপাড়।খুলুদ নামের ওই মডেলের ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী রিয়াদের প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার উত্তরে নাজদ প্রদেশে উশায়কার হেরিটেজ ভিলেজে একটি দুর্গের পাশের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন খুলুদ। তাঁর পরনে মিনি স্কার্ট।
গতকাল সোমবার বিবিসির খবরে জানা যায়, সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল দেশে এমন পোশাক পরায় খুলুদকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছে অনেকে। আবার অনেকে বলছেন, খুলুদ সাহসের কাজ করেছেন। এই বিতর্কের মধ্যেই সৌদি সরকার টুইটার থেকে ভিডিওটি সরিয়ে দিয়েছে।
সৌদি আরবে নারীদের ‘আবায়া’ নামে ঢিলেঢালা ও লম্বা পোশাক পরতে হয়। সেই সঙ্গে নারীদের মাথা ও মুখ ঢেকে রাখাও বাধ্যতামূলক। দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। অনাত্মীয় পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশা করা নিষিদ্ধ।
টুইটে এক মন্তব্যে সাংবাদিক খালেদ জিন্দান লিখেছেন, ‘এখানে হায়া (ধর্মীয় পুলিশ) ফেরত আনা আবশ্যক।’ আরেকজন যুক্তি দেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। ফ্রান্সে নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কেউ নেকাব পরলে জরিমানা করা হয়। সৌদি আরবে শালীন পোশাক হিসেবে আবায়া পরিধান দেশের আইনেরই অংশ।’
লেখক ও দার্শনিক ওয়ায়েল আল-গাসিম এ ধরনের মন্তব্য দেখে হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবলাম তিনি (খুলুদ) বোমা ফাটিয়ে কাউকে মেরে ফেলেছেন। সামান্য স্কার্ট পরা নিয়ে এত কিছু! এই অপরাধে যদি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে ভিশন ২০৩০ নিয়ে আমি চিন্তিত।’
খুলুদের পক্ষ নিয়ে একজন বলেছেন, গত মে মাসে সৌদি সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ইভানকা আবায়া বা হিজাব পরা পছন্দ করেননি। অন্য আরেকজন লিখেছেন, খুলুদ যদি বিদেশি হতেন, তবে কোনো অসুবিধা ছিল না। যেহেতু তিনি সৌদি নাগরিক, তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা দরকার।
গতকাল স্থানীয় ওকাজ সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, উশায়কার কর্মকর্তারা ওই নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রাদেশিক গভর্নর ও পুলিশকে আহ্বান জানিয়েছেন।