ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব হবে: ইশরাক ব্যাটিং ব্যর্থতায় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা ইসরাইল আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির সবচেয়ে বড় হুমকি: এরদোগান নিজ বাড়ির সামনে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা অপরাধ করলে রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না: আইজিপি আগামী বছর রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা জেলেনস্কির সৌদি আরবের মক্কায় ভারী বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যা “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, যেখানে সকল সম্প্রদায় ও নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে” “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী একমাত্র তারেক রহমান” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে আত্মসম্মানের উপর গুরুত্ব দেয় এবং নতজানু নীতিতে বিশ্বাস করে না,:উপদেষ্টা নাহিদ

যে ১০টি বিশেষ ক্ষমতা শুধু শিশুদেরই আছে

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

রাতে সব কাজ শেষে মা যখন ঘুমাতে যান তখনও দেখা যায় তার শিশু সন্তানটি পূর্ণ উদ্যমে খেলছে! মজার বিষয় হচ্ছে যখন শিশুর শক্তি প্রায় নিঃশেষিত হয়ে যায় তখন তারা আরো দ্রুত কাজ করতে পারে। আসলে শিশুদের বিশেষ কিছু ক্ষমতা আছে, শিশুর সেই সুপার পাওয়ারের বিষয়েই জানবো আজকের ফিচারে।

১। শিশুরা কাঁদে না

এটা পড়ে আপনি হয়তো ভাবছেন এর অর্থ কী? শিশুরাতো এই একটি কাজই করে। কিন্তু আসলে বিষয়টি সত্যি নয়। নবজাতক শিশুরা চিৎকার করে কিন্তু কাঁদে না! তাদের অশ্রুনালী বন্ধ থাকে। তাই শিশুর চোখে অশ্রু উৎপন্ন হয় না।

২। শিশুরা পানির নীচে ভালো অনুভব করে

একে ডাইভিং রিফ্লেক্স বলে। শিশুর ছয় মাস বয়সে এটি চলে যায়। এই বয়সের আগে যখন একটি শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয় তখন প্রাকৃতিকভাবেই তার শ্বাস আটকে রাখে এবং তার হাত-পা নড়াচড়া করা শুরু করে সাঁতারের জন্য।

৩। তারা একই সাথে ঢোক গিলতে ও শ্বাস নিতে পারে

নবজাতকের ক্ষেত্রে বড়দের চেয়ে ফ্যারিংক্স বেশি উঁচুতে থাকে। তারা যখন কোন কিছু গিলে তখন তাদের শ্বাসনালীর প্রবেশ পথটি এপিগ্লটিস দ্বারা বন্ধ হয় না। এ কারণেই নবজাতকেরা খাবার গলাধকরণের সময় সহজেই শ্বাসও নিতে পারে।

৪। প্রয়োজনে শিশু অনবরত হাঁচি দিতে পারে

বয়স্কদের তুলনায় শিশুর নাকের ছিদ্রপথ অনেক সরু থাকে। তাই এই পথ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। না হলে শিশুর দম নিতে সমস্যা হয়, তাই সে অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করে। তাই নবজাতকের নাক পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সে হাঁচি দিতে থাকে।

৫। তারা খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়ে

অনেকেই মনে করেন যে, যখন নবজাতক ঘুমায় তখন কোন শব্দ করা যাবে না, এমনকি কথা বলতে হবে ফিসফিস করে। তরুণ বাবা-মায়েরা তাদের শিশু সন্তানকে ঘুমাতে দেখে বিহ্বল হন। জোরে শব্দ হলে তারাই ভয় পেয়ে যান, শিশুর কিন্তু সমস্যা হয় না।

৬। প্রাকৃতিকভাবে বাচনভঙ্গি চিনতে পারে

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, শিশুরা মাকে কাছে পাওয়ার জন্য কাঁদে। তারা এটি পায় মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে যখন তারা মায়ের কন্ঠ শোনে।

৭। কীভাবে হামাগুড়ি দিতে হয় তা জানে নবজাতক

বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে নবজাতকের সামর্থ্য আছে হামাগুড়ি দিয়ে মায়ের বুকের দিকে যাওয়ার। এটা দেখার জন্য আপনি শিশুকে মায়ের পেটের উপর রাখতে পারেন। বিজ্ঞানের মতে নবজাতক দুধের গন্ধে আকৃষ্ট হয়।

৮। শিশুরা খুবই নমনীয় হয়

শিশুর শরীরে ৩০০ টি হাড় থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এগুলো বড় ও সংযুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ একক হাড়ে পরিণত হয়। কিন্তু এগুলো যুক্ত হওয়ার আগে শিশুর শরীর চূড়ান্ত রকমের নমনীয় থাকে। শিশুর এই গঠন তার জন্ম গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয়।

৯। তাদের চুলের ধরণে ব্যপক পরিবর্তন হয়

সময়ের সাথে সাথে শিশুর চুল সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হতে পারে। তাদের চোখের রঙের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।

১০। শিশুর ওজন তিনগুণ বাড়লেও তারা মোটা হয় না

শিশুর জন্মের প্রথম বছরে তারা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে তার ওজন ৩ গুণ বেশি হতে পারে। কিন্তু এটি তাদের গঠনে কোন প্রভাব ফেলে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যে ১০টি বিশেষ ক্ষমতা শুধু শিশুদেরই আছে

আপডেট সময় ০১:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

রাতে সব কাজ শেষে মা যখন ঘুমাতে যান তখনও দেখা যায় তার শিশু সন্তানটি পূর্ণ উদ্যমে খেলছে! মজার বিষয় হচ্ছে যখন শিশুর শক্তি প্রায় নিঃশেষিত হয়ে যায় তখন তারা আরো দ্রুত কাজ করতে পারে। আসলে শিশুদের বিশেষ কিছু ক্ষমতা আছে, শিশুর সেই সুপার পাওয়ারের বিষয়েই জানবো আজকের ফিচারে।

১। শিশুরা কাঁদে না

এটা পড়ে আপনি হয়তো ভাবছেন এর অর্থ কী? শিশুরাতো এই একটি কাজই করে। কিন্তু আসলে বিষয়টি সত্যি নয়। নবজাতক শিশুরা চিৎকার করে কিন্তু কাঁদে না! তাদের অশ্রুনালী বন্ধ থাকে। তাই শিশুর চোখে অশ্রু উৎপন্ন হয় না।

২। শিশুরা পানির নীচে ভালো অনুভব করে

একে ডাইভিং রিফ্লেক্স বলে। শিশুর ছয় মাস বয়সে এটি চলে যায়। এই বয়সের আগে যখন একটি শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয় তখন প্রাকৃতিকভাবেই তার শ্বাস আটকে রাখে এবং তার হাত-পা নড়াচড়া করা শুরু করে সাঁতারের জন্য।

৩। তারা একই সাথে ঢোক গিলতে ও শ্বাস নিতে পারে

নবজাতকের ক্ষেত্রে বড়দের চেয়ে ফ্যারিংক্স বেশি উঁচুতে থাকে। তারা যখন কোন কিছু গিলে তখন তাদের শ্বাসনালীর প্রবেশ পথটি এপিগ্লটিস দ্বারা বন্ধ হয় না। এ কারণেই নবজাতকেরা খাবার গলাধকরণের সময় সহজেই শ্বাসও নিতে পারে।

৪। প্রয়োজনে শিশু অনবরত হাঁচি দিতে পারে

বয়স্কদের তুলনায় শিশুর নাকের ছিদ্রপথ অনেক সরু থাকে। তাই এই পথ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। না হলে শিশুর দম নিতে সমস্যা হয়, তাই সে অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করে। তাই নবজাতকের নাক পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সে হাঁচি দিতে থাকে।

৫। তারা খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়ে

অনেকেই মনে করেন যে, যখন নবজাতক ঘুমায় তখন কোন শব্দ করা যাবে না, এমনকি কথা বলতে হবে ফিসফিস করে। তরুণ বাবা-মায়েরা তাদের শিশু সন্তানকে ঘুমাতে দেখে বিহ্বল হন। জোরে শব্দ হলে তারাই ভয় পেয়ে যান, শিশুর কিন্তু সমস্যা হয় না।

৬। প্রাকৃতিকভাবে বাচনভঙ্গি চিনতে পারে

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, শিশুরা মাকে কাছে পাওয়ার জন্য কাঁদে। তারা এটি পায় মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে যখন তারা মায়ের কন্ঠ শোনে।

৭। কীভাবে হামাগুড়ি দিতে হয় তা জানে নবজাতক

বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে নবজাতকের সামর্থ্য আছে হামাগুড়ি দিয়ে মায়ের বুকের দিকে যাওয়ার। এটা দেখার জন্য আপনি শিশুকে মায়ের পেটের উপর রাখতে পারেন। বিজ্ঞানের মতে নবজাতক দুধের গন্ধে আকৃষ্ট হয়।

৮। শিশুরা খুবই নমনীয় হয়

শিশুর শরীরে ৩০০ টি হাড় থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এগুলো বড় ও সংযুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ একক হাড়ে পরিণত হয়। কিন্তু এগুলো যুক্ত হওয়ার আগে শিশুর শরীর চূড়ান্ত রকমের নমনীয় থাকে। শিশুর এই গঠন তার জন্ম গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয়।

৯। তাদের চুলের ধরণে ব্যপক পরিবর্তন হয়

সময়ের সাথে সাথে শিশুর চুল সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হতে পারে। তাদের চোখের রঙের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।

১০। শিশুর ওজন তিনগুণ বাড়লেও তারা মোটা হয় না

শিশুর জন্মের প্রথম বছরে তারা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে তার ওজন ৩ গুণ বেশি হতে পারে। কিন্তু এটি তাদের গঠনে কোন প্রভাব ফেলে না।