ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব হবে: ইশরাক ব্যাটিং ব্যর্থতায় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা ইসরাইল আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির সবচেয়ে বড় হুমকি: এরদোগান নিজ বাড়ির সামনে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা অপরাধ করলে রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না: আইজিপি আগামী বছর রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা জেলেনস্কির সৌদি আরবের মক্কায় ভারী বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যা “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, যেখানে সকল সম্প্রদায় ও নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে” “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী একমাত্র তারেক রহমান” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে আত্মসম্মানের উপর গুরুত্ব দেয় এবং নতজানু নীতিতে বিশ্বাস করে না,:উপদেষ্টা নাহিদ

মহাত্মা গান্ধীর ‘জীবন রক্ষাকারী’ সেই ব্যক্তির মৃত্যু

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জীবন রক্ষাকারী সেই ব্যক্তি মারা গেছেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের যোদ্ধা ভিকু দাজি ভিলার ১৯৪৪ সালে নাথুরাম গডসের হামলা থেকে মহাত্মা গান্ধীকে রক্ষা করেছিলেন।বুধবার মহারাষ্ট্রের ভিলারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভিলার গুরুজি নামে পরিচিত ছিলেন মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর এই একান্ত সহচর। তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।

বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিলার গুরুজি বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্রে পঞ্চগানিতে মহাত্মা গান্ধীর প্রার্থনা সভায় সবাই আসতে পারতেন। সেই দিনও তার সহযোগী ঊষা মেহতা, পেয়ারিলাল, অরুণা আসাফ আলী ও অন্যরা প্রার্থনার জন্য উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ ছুরি হাতে নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর দিকে তেড়ে আসেন গডসে এবং বলেন, তার কিছু প্রশ্ন আছে। আমি তাকে থামিয়েছিলাম, তার হাত বাঁকিয়ে ধরে ছুরি কেড়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু গান্ধীজি কিছুই না বলে তাকে ছেড়ে দেয়।’

গান্ধীজির পরিবারের কাছে থাকা সেই ঘটনার রেকর্ড থেকে জানা যায়, ভিলার ও মনিশংকর পুরোহিত সেদিন গডসেকে ধরে ফেলেছিলেন।

তবে গান্ধীজির জীবন রক্ষা নিয়ে ভিলার গুরুজির দাবির বিষয়ে ঐতিহাসিক বিতর্ক আছে। এ বিষয়ে কাপুর কমিশন জানায়, ‘১৯৪৪ সালের জুলাই মাসের সেই ঘটনার যথার্থতা, এমন কি সেই ঘটনা আসলেই ঘটেছিল কিনা, তা প্রমাণিত নয়।’

কমিশনের সামনে মনিশংকর পুরোহিত যে বয়ান দেন, তাতে তিনি বলেন, ১৯৪৪ নয়, ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে ঘটেছিল পঞ্চগানির প্রার্থনা সভার সেই হামলার ঘটনা। তা ছাড়া সেই ঘটনায় ভিলার গুরুজির এগিয়ে এসে গডসেকে থামানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে কমিশন যতটুকু জানতে পারে, ১৯৪৪ সালে পঞ্চগানের প্রার্থনা সভায় একদল মানুষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছিল।

গান্ধীজির সঙ্গে ভিলার গুরুজির ভালো সম্পর্কের বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে। বিতর্ক থাকলেও জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি দাবি করেছেন গান্ধীজির জীবন রক্ষার সেই ঘটনায় তিনি ছিলেন। তা ছাড়া ভিলার গুরুজি গান্ধীজির অহিংস মতবাদের অনুসারী ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাত্মা গান্ধীর ‘জীবন রক্ষাকারী’ সেই ব্যক্তির মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জীবন রক্ষাকারী সেই ব্যক্তি মারা গেছেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের যোদ্ধা ভিকু দাজি ভিলার ১৯৪৪ সালে নাথুরাম গডসের হামলা থেকে মহাত্মা গান্ধীকে রক্ষা করেছিলেন।বুধবার মহারাষ্ট্রের ভিলারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভিলার গুরুজি নামে পরিচিত ছিলেন মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর এই একান্ত সহচর। তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।

বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিলার গুরুজি বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্রে পঞ্চগানিতে মহাত্মা গান্ধীর প্রার্থনা সভায় সবাই আসতে পারতেন। সেই দিনও তার সহযোগী ঊষা মেহতা, পেয়ারিলাল, অরুণা আসাফ আলী ও অন্যরা প্রার্থনার জন্য উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ ছুরি হাতে নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর দিকে তেড়ে আসেন গডসে এবং বলেন, তার কিছু প্রশ্ন আছে। আমি তাকে থামিয়েছিলাম, তার হাত বাঁকিয়ে ধরে ছুরি কেড়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু গান্ধীজি কিছুই না বলে তাকে ছেড়ে দেয়।’

গান্ধীজির পরিবারের কাছে থাকা সেই ঘটনার রেকর্ড থেকে জানা যায়, ভিলার ও মনিশংকর পুরোহিত সেদিন গডসেকে ধরে ফেলেছিলেন।

তবে গান্ধীজির জীবন রক্ষা নিয়ে ভিলার গুরুজির দাবির বিষয়ে ঐতিহাসিক বিতর্ক আছে। এ বিষয়ে কাপুর কমিশন জানায়, ‘১৯৪৪ সালের জুলাই মাসের সেই ঘটনার যথার্থতা, এমন কি সেই ঘটনা আসলেই ঘটেছিল কিনা, তা প্রমাণিত নয়।’

কমিশনের সামনে মনিশংকর পুরোহিত যে বয়ান দেন, তাতে তিনি বলেন, ১৯৪৪ নয়, ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে ঘটেছিল পঞ্চগানির প্রার্থনা সভার সেই হামলার ঘটনা। তা ছাড়া সেই ঘটনায় ভিলার গুরুজির এগিয়ে এসে গডসেকে থামানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে কমিশন যতটুকু জানতে পারে, ১৯৪৪ সালে পঞ্চগানের প্রার্থনা সভায় একদল মানুষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছিল।

গান্ধীজির সঙ্গে ভিলার গুরুজির ভালো সম্পর্কের বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে। বিতর্ক থাকলেও জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি দাবি করেছেন গান্ধীজির জীবন রক্ষার সেই ঘটনায় তিনি ছিলেন। তা ছাড়া ভিলার গুরুজি গান্ধীজির অহিংস মতবাদের অনুসারী ছিলেন।