২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নড়িয়ার সেই স্কুলের দ্বিতল ভবনটিও পদ্মায় বিলীন

0
687

আকাশ জাতীয় ডেস্ক: 

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের ৮১নং বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন কাম-সাইক্লোন সেন্টারটিও আগ্রাসী পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ভবনটির সিঁড়ি রুমটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। যে কোনো সময় পুরো ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় এই বিদ্যালয়ের একতলা ভবনটি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকার আরও অর্ধশতাধিক বসতবাড়িসহ অনেক ফসলি জমি পদ্মার আগ্রাসী থাবায় বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব।

বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিলীন হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়টি পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ১৯৪২ সালে নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের বসাকেরচরে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি ২০১২ সালে ও একতলা ভবনটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

এই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভবনটিও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ৩৭৫ জন কোমলমতি শিশুর শিক্ষাজীবন। এছাড়া গত তিন দিনে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে এই এলাকার ৪টি গ্রামের আরও অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি এবং অনেক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন রক্ষায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চরআত্রা রক্ষা প্রকল্পের কাজ গত মার্চ মাস থেকে চলছে। শুধু বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য ওই স্থানে ৭৪ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তারপরও বিদ্যালয়টি শেষ রক্ষা করা সম্ভব হল না।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালু রাখার জন্য যেখানে ভাঙন ঝুঁকি নেই এমন এলাকায় আপাতত বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। ভাঙনকবলিতদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।