তথ্য গোপন করে দুই রোগী ভর্তি, রংপুরে ১১ ডাক্তারসহ ২৪ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত!

0
271

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

রংপুরে দুই রোগী তথ্য গোপন করায় ১১ ডাক্তারসহ ২৪ স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। রমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুই রোগী নিজেদের রোগের তথ্য গোপন রেখে ভর্তি হওয়ার পর পরই তারা মারা যায়। মৃত্যুর পরে তাদের দেহে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বেশ কদিন পরে জানা যায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির দেহে করোনা সংক্রমন ছিল।

ফলে ওই ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে ডাক্তার নার্সসহ অনেকেই করোনা আক্রান্ত হন। এদিকে সোমবার দুপুরে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেসন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক ডা. আব্দুল হালিম ও ডা. আফসানা লিজা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার ১৪ বছরের কিশোরের মৃত্যুর পর খবর প্রকাশ করে আইইডিসিআর। মৃত কিশোরের বাড়ি গাইবান্ধায়। সে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই তারিখেই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ওই দিনই সে মারা যায়। ২৭ এপ্রিল তার নমুনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। অপরদিকে ২৫ এপ্রিল নীলফামারী থেকে পেটের ব্যথার কথা বলে এক রোগী রমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই রাতেই সে মারা যায় এবং মৃত্যুর পর তার দেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৮এপ্রিল পরীক্ষার ফলাফল আসে করোনা পজেটিভ।

ওই দুই রোগী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয় এবং চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওই দুই রোগী মারা যায়। এসময় তার সংস্পর্শে আসে ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন। তাদের মাধ্যমে প্রথমে করোনা ছড়ায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে। সচেতন মহল মনে করছেন তথ্য গেপন করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী একদিকে নিজেকে এবং পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন অপরদিকে চিকিৎসা সেবায় নিয়েজিত যারা রয়েছেন তাদেরকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন।

এদিকে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেসন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চিকিৎসক ডা. আব্দুল হালিম ও ডা. আফসানা লিজা। সোমবার দুপুরে ছাড়পত্র পেয়ে দুই চিকিৎসক নিজ বাসায় ফিরেছেন। হাসপাতাল থেকে বিদায় নেয়ার সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকবৃন্দ তাদের ফুল ও চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। করতালি দিয়ে করোনা জয়ী দুই চিকিৎসককে বিদায় জানানো হয়।