অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
পূর্ব লন্ডনের বিখ্যাত মন্টফিউরি হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চোখের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে অস্ত্রোপচারের তারিখ জানানো হবে। একই সঙ্গে হাঁটুর সমস্যার বিষয়েও পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি। চিকিৎসকরা হাঁটুতে অস্ত্রোপচার না করে বিকল্পব্যবস্থার পক্ষে মত দিয়েছেন। আপাতত দলীয় নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না তিনি। গত ১৭ দিনে মাত্র তিন দিন বাসা থেকে বেরিয়েছেন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা ছাড়া আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো পর্যায়ের কাউকেই এখনো সাক্ষাৎ দেননি বিএনপিপ্রধান।
জানতে চাইলে লন্ডনপ্রবাসী বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান বলেন, চেয়ারপারসন আপাতত তাঁর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত। পরে তিনি অন্যান্য কাজ করবেন। চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তারের বরাত দিয়ে তাঁর প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ম্যাডামের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে যাচ্ছেন।
আগামী সপ্তাহে জানানো হবে কবে এবং কখন তাঁর অস্ত্রোপচার করা হবে। এরপর কিছুদিন তিনি চিকিৎসদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
জানা গেছে, তারেক রহমানের বাসায় তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, তাঁর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানের সঙ্গে আপাতত পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসার সব কিছু দেখাশোনা করছেন ডা. জোবাইদা। বাসা থেকে হাসপাতালে আনা-নেওয়ার কাজটি তারেক নিজেই করছেন।
এই সফরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কয়েকটি বৈঠকেরও কথা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বিশেষ করে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ দেশটির বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করেছে।
এ বিষয়ে মাহিদুর রহমান বলেন, ‘লন্ডন বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা একটি অনুষ্ঠান করব। এ ছাড়া কয়েকটি কূটনৈতিক বৈঠক হতে পারে। তবে ম্যাডামের সঙ্গে আলোচনার পর ওই কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। গণমাধ্যমকেও তা জানানো হবে। ’ দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন ঈদুল আজহার পরে।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর যুক্তরাজ্যে খালেদার এটি তৃতীয় সফর।