ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি গোপন স্থান

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

রহস্যময় জিনিসের প্রতি আমাদের সবারই কিছু না কিছু আগ্রহ আছে। অনেকেই বলে পৃথিবীতেহ রহস্য বলতে কিছুই নেই। মুখে এমনটা বললেও রহস্য নিয়ে যদি কোন আলোচনা শুরু হয় তাহলে উৎসুক মানুষের আগ্রহের শেষ হয় না। পৃথিবী যতদিন থাকবে পৃথিবীতে ততদিন রহস্য থাকবেই। আমাদের চারপাশে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যাকে নিয়ে বছরের পর পর বছর রহস্য থেকেই রয়েছে। আদৌ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি রহস্যের কারণ। ঠিক তেমনি বাংলাদেশই রয়েছে অনেক রহস্যময় জায়গা। তারমধ্যে সেরা ৫ টি রহস্যময় জায়গা হল-

১. গানস অব বরিশাল:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!এর শুরুটা হয়েছিল ব্রিটিশ আমল থেকে। ব্রিটিশরা বরিশালে আসার সময় এর নাম ছিল বাকেরগঞ্জ। বাকেরগঞ্জে তৎকালীন ব্রিটিশ সিভিল সার্জন প্রথম গানস অব বরিশালের ঘটনাটি উল্লেখ করেন। বর্ষা আসার আগে আগে গভীর সাগর থেকে রহস্যময় কামান দাগার আওয়াজ আসতো। ব্রিটিশরা মনে করেছিলেন হয়তো কোন জলদস্যু। কিন্তু জলদস্যু নয়।অনেক খোঁজাখুঁজির পরও খুঁজে পাননি কাউকে। যে সব বিকট শব্দ শোনা যেত তার সাথে ঢেউয়ের শব্দের চেয়ে কামানের গোলা দাগার শব্দের সাথে বেশি মিল ছিল। কখনও কখনও একটা শব্দ শোনা যেত, আবার কখনও দুই বা তিনটি শব্দ একসাথে শোনা যেত। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে শব্দগুলো বেশি শোনা যেত। অক্টোবর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শব্দগুলো শোনা যেত বেশি। আর সেই শব্দের রহস্য আজও ভেদ করতে পারে নি কেউ। এই কামান দাগা সম্পর্কে আমাদের জনপ্রিয় কবি সুফিয়া কামার তার আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন এই ধরনের রহস্যময় কথা। তিনি তার মুরুব্বিদের কাছ থেকে শুনেছিলেন এর রহস্য। হয়তো সাগরে কোন গ্যাসফিল্ড যা এখনো মৃত। কোন মৃত আগ্নেয়গিরি বা কোন রহস্য। যাই হোক ব্যাপারটি এখনো রয়েছে আনটোল্ড স্টোরি হিসেবে।

২. বগা লেক:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!কেওকারাডং পর্বতের আগেই দেখা মিলবে রুপসী বগা লেকের। বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এখানে এক ড্রাগন বসবাস করতো। সেই ড্রাগন ছোট ছোট বাচ্চাদের খেয়ে ফেলত। গ্রামের লোকেরা বিরক্ত হয়ে সেই ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে প্রচণ্ড আগুন আর শব্দ বের হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। উপজেলা পরিষদের সাইনবোর্ডে এই লেকের রহস্যের কথা লিখা আছে। শুনলে অবাক হবেন যে এই লেকের গভীরতা আজ পর্যন্ত কেউ মাপতে বা অনুমান করতে পারেনি। প্রতিবছর রহস্যময়ভাবে এই লেকের পানি কয়েকবার পাল্টে যায়। যদিও কোন ঝর্ণা নেই তবুও লেকের পানি কেন রং পাল্টায় তা কেউ বলতে পারে না। তবে এই লেকের রহস্য যাই হোক আজ পর্যন্ত এ রহস্য ভেদ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি।

৩. চিকন কালা ( নিফিউ পাড়া):
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!এটি বাংলাদেশের এবং মায়ানমারের মধ্যস্থানে অবস্থিত যেটিকে আমরা বলি নো মেন্স লেন্ডিং। সেখানে আপনি যখনি যাবেন হরহামেশা দেখতে পাবেন চিতাবাঘের ছাল এদিক- ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেটা হোক দুপুর ১২ টা তাতে কি? হরহামেশা দেখতে পাবেন দাঁতালো শুকুর আর ময়ুর। দিনের বেলায় বাঘ এবং ভাল্লুকের শব্দ শুনতে পাবেন। চিকনকালার লোকজনেরা প্রতিবছর নাকি যদিও বা সেই দিনটিকে নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না কেউই, সেই দিন হঠাৎ বনের ভেতর থেকে রহস্যময় শব্দ আসতে থাকে। শব্দটি খানিকটা ধবধব-ধবধব আওয়াজের মতো। শিকারিরা যখনই সেই শব্দ শুনেন তখন সবাই বন থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে আসতে থাকেন। কিন্তু প্রতিবছরই কিছু হতভাগা মানুষ পিছনে পরে যায় আর একবার যারা পিছনে পড়ে যায় তারা আর কোনদিন ফিরে আসে না। কয়েকদিন পরে বনের মধ্যে তাদের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না, শুধু পাওয়া যায় ছাপ। তবে এর রহস্য কি তা আজও কেউ জানে না।

৪. সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!মেঘনা নদী যেখানে সাগরে মিশেছে সেই জায়গাটিকে বলা হয় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড বা অতলস্পর্শী। বহু বছর আগে ব্রিটিশরা এই নামটি দিয়ে যান। এর কারণ হচ্ছে এটি যেখানে সাগরে মিশেছে সেখানে হঠাৎ করেই নাকি গভীরতা অনেক বেড়ে গেছে। ব্রিটিশদের ধারণা সমুদ্রের এই তলের কোন তল নাই তাই এই নামকরণ। এটিকে স্থানীয়রা বলে নাই বাম। জায়গাটা মারিয়ানা ট্রেঞ্জের মতো। অনেকে এটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ বলে উল্লেখ করে থাকে। এটি আজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার বছর পূর্বে তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। গাঙ্গেয় বদ্বীপ গঠনের পর থেকেই দ্বিতীয়মুখী স্রোতের ঠেলায় তলার মাটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এখনো এর গভীরতা পরিমাপ করা আদৌ সম্ভব হয়নি। কোনদিন তা সম্ভব হবে কিনা তা কারো জানা নেই। তবে এই রহস্য রহস্যই থেকে গেল।

৫. লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!মোঘল আমলে তৈরি এই লালবাগ কেল্লা। এটিকে নিয়ে লোকমুখে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে তারমধ্যে বহুল প্রচলিত এবং আলোচিত হচ্ছে লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ। জমিদাররা কোন বিপদ দেখলেেই এই সুড়ঙ্গটি দিয়ে দিল্লি পালিয়ে যেতেন।এই সুড়ঙ্গের রহস্য হল যে একবার এই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করে সে আর ফিরে আসে না বা তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিদেশি বিজ্ঞানীরা একবার দুটি কুকুর পাঠান কিন্তু কুকুর দুটি আর ফিরে আসেনা। পরবর্তীতে আবার দুটি কুকুরকে কারো কারো মতে দুটি ঘোড়ার গলায় লোহার শিকল বেঁধে পাঠালে শুধু লোহার শিকল ফিরে আসলেও কুকুর বা ঘোড়ার কোন চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায় নি। অনেকের মতে এর মধ্যে এমন এক প্রকার গ্যাস রয়েছে যার প্রভাবে যে কোন প্রাণীর হাড়, মাংস গলে যায় আবারো কারো ধারণা এর মধ্যে এমন এক প্রকার শক্তি রয়েছে যার কাছে প্রবেশ করলে কোন প্রাণীর পক্ষেই আর ফিরে আসা সম্ভব নয়।

তবে এই সুড়ঙ্গের ভেতর এতই অন্ধকার যে যার মধ্যে কোন টর্চ বা আলো কোন কিছুই কাজে আসে না। বর্তমানে সুড়ঙ্গটি সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। লালবাগ কেল্লার এই রহস্যময় সুড়ঙ্গটির রহস্য আদৌ ভেদ করা সম্ভব হয়নি। জানিনা কোনদিন এর রহস্য ভেদ করা সম্ভব হবে কি না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্যার পানি কমার সাথে সাথে জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে

বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি গোপন স্থান

আপডেট সময় ০৩:০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

রহস্যময় জিনিসের প্রতি আমাদের সবারই কিছু না কিছু আগ্রহ আছে। অনেকেই বলে পৃথিবীতেহ রহস্য বলতে কিছুই নেই। মুখে এমনটা বললেও রহস্য নিয়ে যদি কোন আলোচনা শুরু হয় তাহলে উৎসুক মানুষের আগ্রহের শেষ হয় না। পৃথিবী যতদিন থাকবে পৃথিবীতে ততদিন রহস্য থাকবেই। আমাদের চারপাশে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যাকে নিয়ে বছরের পর পর বছর রহস্য থেকেই রয়েছে। আদৌ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি রহস্যের কারণ। ঠিক তেমনি বাংলাদেশই রয়েছে অনেক রহস্যময় জায়গা। তারমধ্যে সেরা ৫ টি রহস্যময় জায়গা হল-

১. গানস অব বরিশাল:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!এর শুরুটা হয়েছিল ব্রিটিশ আমল থেকে। ব্রিটিশরা বরিশালে আসার সময় এর নাম ছিল বাকেরগঞ্জ। বাকেরগঞ্জে তৎকালীন ব্রিটিশ সিভিল সার্জন প্রথম গানস অব বরিশালের ঘটনাটি উল্লেখ করেন। বর্ষা আসার আগে আগে গভীর সাগর থেকে রহস্যময় কামান দাগার আওয়াজ আসতো। ব্রিটিশরা মনে করেছিলেন হয়তো কোন জলদস্যু। কিন্তু জলদস্যু নয়।অনেক খোঁজাখুঁজির পরও খুঁজে পাননি কাউকে। যে সব বিকট শব্দ শোনা যেত তার সাথে ঢেউয়ের শব্দের চেয়ে কামানের গোলা দাগার শব্দের সাথে বেশি মিল ছিল। কখনও কখনও একটা শব্দ শোনা যেত, আবার কখনও দুই বা তিনটি শব্দ একসাথে শোনা যেত। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে শব্দগুলো বেশি শোনা যেত। অক্টোবর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শব্দগুলো শোনা যেত বেশি। আর সেই শব্দের রহস্য আজও ভেদ করতে পারে নি কেউ। এই কামান দাগা সম্পর্কে আমাদের জনপ্রিয় কবি সুফিয়া কামার তার আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন এই ধরনের রহস্যময় কথা। তিনি তার মুরুব্বিদের কাছ থেকে শুনেছিলেন এর রহস্য। হয়তো সাগরে কোন গ্যাসফিল্ড যা এখনো মৃত। কোন মৃত আগ্নেয়গিরি বা কোন রহস্য। যাই হোক ব্যাপারটি এখনো রয়েছে আনটোল্ড স্টোরি হিসেবে।

২. বগা লেক:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!কেওকারাডং পর্বতের আগেই দেখা মিলবে রুপসী বগা লেকের। বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এখানে এক ড্রাগন বসবাস করতো। সেই ড্রাগন ছোট ছোট বাচ্চাদের খেয়ে ফেলত। গ্রামের লোকেরা বিরক্ত হয়ে সেই ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে প্রচণ্ড আগুন আর শব্দ বের হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। উপজেলা পরিষদের সাইনবোর্ডে এই লেকের রহস্যের কথা লিখা আছে। শুনলে অবাক হবেন যে এই লেকের গভীরতা আজ পর্যন্ত কেউ মাপতে বা অনুমান করতে পারেনি। প্রতিবছর রহস্যময়ভাবে এই লেকের পানি কয়েকবার পাল্টে যায়। যদিও কোন ঝর্ণা নেই তবুও লেকের পানি কেন রং পাল্টায় তা কেউ বলতে পারে না। তবে এই লেকের রহস্য যাই হোক আজ পর্যন্ত এ রহস্য ভেদ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি।

৩. চিকন কালা ( নিফিউ পাড়া):
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!এটি বাংলাদেশের এবং মায়ানমারের মধ্যস্থানে অবস্থিত যেটিকে আমরা বলি নো মেন্স লেন্ডিং। সেখানে আপনি যখনি যাবেন হরহামেশা দেখতে পাবেন চিতাবাঘের ছাল এদিক- ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেটা হোক দুপুর ১২ টা তাতে কি? হরহামেশা দেখতে পাবেন দাঁতালো শুকুর আর ময়ুর। দিনের বেলায় বাঘ এবং ভাল্লুকের শব্দ শুনতে পাবেন। চিকনকালার লোকজনেরা প্রতিবছর নাকি যদিও বা সেই দিনটিকে নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না কেউই, সেই দিন হঠাৎ বনের ভেতর থেকে রহস্যময় শব্দ আসতে থাকে। শব্দটি খানিকটা ধবধব-ধবধব আওয়াজের মতো। শিকারিরা যখনই সেই শব্দ শুনেন তখন সবাই বন থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে আসতে থাকেন। কিন্তু প্রতিবছরই কিছু হতভাগা মানুষ পিছনে পরে যায় আর একবার যারা পিছনে পড়ে যায় তারা আর কোনদিন ফিরে আসে না। কয়েকদিন পরে বনের মধ্যে তাদের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না, শুধু পাওয়া যায় ছাপ। তবে এর রহস্য কি তা আজও কেউ জানে না।

৪. সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!মেঘনা নদী যেখানে সাগরে মিশেছে সেই জায়গাটিকে বলা হয় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড বা অতলস্পর্শী। বহু বছর আগে ব্রিটিশরা এই নামটি দিয়ে যান। এর কারণ হচ্ছে এটি যেখানে সাগরে মিশেছে সেখানে হঠাৎ করেই নাকি গভীরতা অনেক বেড়ে গেছে। ব্রিটিশদের ধারণা সমুদ্রের এই তলের কোন তল নাই তাই এই নামকরণ। এটিকে স্থানীয়রা বলে নাই বাম। জায়গাটা মারিয়ানা ট্রেঞ্জের মতো। অনেকে এটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ বলে উল্লেখ করে থাকে। এটি আজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার বছর পূর্বে তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। গাঙ্গেয় বদ্বীপ গঠনের পর থেকেই দ্বিতীয়মুখী স্রোতের ঠেলায় তলার মাটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এখনো এর গভীরতা পরিমাপ করা আদৌ সম্ভব হয়নি। কোনদিন তা সম্ভব হবে কিনা তা কারো জানা নেই। তবে এই রহস্য রহস্যই থেকে গেল।

৫. লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ:
বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান!মোঘল আমলে তৈরি এই লালবাগ কেল্লা। এটিকে নিয়ে লোকমুখে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে তারমধ্যে বহুল প্রচলিত এবং আলোচিত হচ্ছে লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ। জমিদাররা কোন বিপদ দেখলেেই এই সুড়ঙ্গটি দিয়ে দিল্লি পালিয়ে যেতেন।এই সুড়ঙ্গের রহস্য হল যে একবার এই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করে সে আর ফিরে আসে না বা তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিদেশি বিজ্ঞানীরা একবার দুটি কুকুর পাঠান কিন্তু কুকুর দুটি আর ফিরে আসেনা। পরবর্তীতে আবার দুটি কুকুরকে কারো কারো মতে দুটি ঘোড়ার গলায় লোহার শিকল বেঁধে পাঠালে শুধু লোহার শিকল ফিরে আসলেও কুকুর বা ঘোড়ার কোন চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায় নি। অনেকের মতে এর মধ্যে এমন এক প্রকার গ্যাস রয়েছে যার প্রভাবে যে কোন প্রাণীর হাড়, মাংস গলে যায় আবারো কারো ধারণা এর মধ্যে এমন এক প্রকার শক্তি রয়েছে যার কাছে প্রবেশ করলে কোন প্রাণীর পক্ষেই আর ফিরে আসা সম্ভব নয়।

তবে এই সুড়ঙ্গের ভেতর এতই অন্ধকার যে যার মধ্যে কোন টর্চ বা আলো কোন কিছুই কাজে আসে না। বর্তমানে সুড়ঙ্গটি সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। লালবাগ কেল্লার এই রহস্যময় সুড়ঙ্গটির রহস্য আদৌ ভেদ করা সম্ভব হয়নি। জানিনা কোনদিন এর রহস্য ভেদ করা সম্ভব হবে কি না।