অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে হাতিয়ার। এটা শুধু আত্মরক্ষার জন্যেই নয়, পুরনো রীতি অনুযায়ী নিজেকে সাজাতেও হাতিয়ারকে অলংকার হিসাবে ব্যবহার করতে হতো। পৃথিবীর সব দেশেই তো অস্ত্রের জাদুঘর দেখতে পারবেন। কিন্তু ইউএই-এর নাইফ ফোর্ট জাদুঘরটা একেবারেই ভিন্ন। ইতিহাসে আগ্রহী ভ্রমণপিয়াসীরা ভিড় করেন দুবাইয়ের নাইফ ফোর্টে।
এই দুর্গ গড়ে তোলা হয় ১৯৩৯ সালে। দেশটিতে অস্ত্র ব্যবহারের ইতিহাস, ঐহিত্য এবং তার বিবর্তন পুরোটাই তুলে ধরা হয়েছে একানে। সেখানে পুলিশের ইউনিফর্মের বিবর্তনও দেখানো হয়েছে। এমনকি যে ব্যাজ তারা ধারণ করতেন, তার চেহারা বদলও দেখতে পারবেন সেখানে।
সেই কোন আমলের ছুরি রয়েছে চিন্তাও করতে পারবেন না। ড্যাগারগুলো হাতল হাড় দিয়ে বানানো। সেখানে রূপার কারুকাজ। পঞ্চাশের দশকে অনার গার্ডসদের ব্যবহৃত তলোয়াড়গুলো সাজানো রয়েছে মিউজিয়ামে। আরেকটি বিখ্যাত তলোয়াড় কাতারা। একটু বাঁকানো এই অস্ত্রের ডগাতে রূপার নব লাগানো। পুরনো সব কুড়ালও রয়েছে।
ঢাল রয়েছে এখানে। এগুলো হাঙরের ত্বক দিয়ে তৈরি। দারুণ এক জিনিস! আশির দশকে জার্মানদের তৈরি মেশিন গানের দেখা এখানেই মিলবে। আরো আছে সত্তরের দশকের ব্রাউনিং বেলজিয়াম গান।
বন্দুকের সংগ্রহ তো বিশাল। জি৩ রাইফেল থেকে শুরু করে কিন, সুরফা আর বুফাতিলা রাইফেল আছে। দাঙ্গা প্রতিরোধের জন্য পুলিশ বাহিনীর ব্যবহৃত জিনিসপত্রই বা কেন বাদ যাবে? এগুলোও রাখা হয়েছে।
যদি দুবাই যান তো নাইফ ফোর্ট দেখতে ভুল করবেন না। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই জাদুঘর। আর শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে।