ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পাবনায় জোড়া মাথার যমজ শিশু

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

জোড়া মাথার যমজ শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পাবনার এক শিক্ষক দম্পত্তি। চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে গত বছর জন্ম নিয়েছে এই যমজ মেয়ে দুটি। কিন্তু তাদের দুজনার মাথা একসঙ্গে লেগে থাকায় চিন্তা বাড়ছে পরিবারের।

শিশুর বাবা চাটমোহর উপজেলার অমিত্র কুন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় রাবেয়া ও রোকাইয়া নামে যমজ কন্যার।

তিনি আরো বলেন, আমরা সিজার করার আগের দিন পর্যন্ত জানতে পারিনি যমজ শিশুর কথা। এমনকি ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে তাতেও ধরা পড়েনি। যদি শিশু দুটির মাথা অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করা যায় তাহলে খুব ভালো হয়। এজন্য সরকারের সহায়তা চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাবেয়া-রুকাইয়ার বাবা।

ইতোমধ্যে মেয়ে দুটিকে আলাদা করণের উদ্দেশে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ডা. রুহুল আমিনের শরণাপন্ন হয়েছিল পরিবারটি। বয়স কম হওয়ায় অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ডাক্তারের অভিমত।

রফিকুলের স্ত্রী চাটমোহর উপজেলার আটলংকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা খাতুন জানান, মাথা জোড়া হলেও তাদের আচরণ স্বাভাবিক। কিন্তু খাওয়ানো, গোসল করা, কোলে রাখা, ওঠাবসা সবকিছুতে অস্বস্তি কাজ করে। সরকারি বা বেসরকারি সহায়তায় সুচিকিৎসায় যদি তাদের জোড়া মাথা আলাদা করা যেতো তাহলে খুব ভালো হতো।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ড. স. ম. বায়েজীদ উল ইসলাম জানান, জন্মগত ত্রুটির কারণে জোড়া মাথার যমজ শিশুর জন্ম হয়। ভালোভাবে পরীক্ষার পর বোঝা যাবে তাদের মাথা আলাদা করা যাবে কিনা। তবে অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।

জোড়া মাথার যমজ শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পাবনার এক শিক্ষক দম্পত্তি। চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে গত বছর জন্ম নিয়েছে এই যমজ মেয়ে দুটি। কিন্তু তাদের দুজনার মাথা একসঙ্গে লেগে থাকায় চিন্তা বাড়ছে পরিবারের। শিশুর বাবা চাটমোহর উপজেলার অমিত্র কুন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় রাবেয়া ও রোকাইয়া নামে যমজ কন্যার। তিনি আরো বলেন, আমরা সিজার করার আগের দিন পর্যন্ত জানতে পারিনি যমজ শিশুর কথা। এমনকি ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে তাতেও ধরা পড়েনি। যদি শিশু দুটির মাথা অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করা যায় তাহলে খুব ভালো হয়। এজন্য সরকারের সহায়তা চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাবেয়া-রুকাইয়ার বাবা। ইতোমধ্যে মেয়ে দুটিকে আলাদা করণের উদ্দেশে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ডা. রুহুল আমিনের শরণাপন্ন হয়েছিল পরিবারটি। বয়স কম হওয়ায় অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ডাক্তারের অভিমত। রফিকুলের স্ত্রী চাটমোহর উপজেলার আটলংকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা খাতুন জানান, মাথা জোড়া হলেও তাদের আচরণ স্বাভাবিক। কিন্তু খাওয়ানো, গোসল করা, কোলে রাখা, ওঠাবসা সবকিছুতে অস্বস্তি কাজ করে। সরকারি বা বেসরকারি সহায়তায় সুচিকিৎসায় যদি তাদের জোড়া মাথা আলাদা করা যেতো তাহলে খুব ভালো হতো। এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ড. স. ম. বায়েজীদ উল ইসলাম জানান, জন্মগত ত্রুটির কারণে জোড়া মাথার যমজ শিশুর জন্ম হয়। ভালোভাবে পরীক্ষার পর বোঝা যাবে তাদের মাথা আলাদা করা যাবে কিনা। তবে অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনায় জোড়া মাথার যমজ শিশু

আপডেট সময় ১২:৫৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

জোড়া মাথার যমজ শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পাবনার এক শিক্ষক দম্পত্তি। চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে গত বছর জন্ম নিয়েছে এই যমজ মেয়ে দুটি। কিন্তু তাদের দুজনার মাথা একসঙ্গে লেগে থাকায় চিন্তা বাড়ছে পরিবারের।

শিশুর বাবা চাটমোহর উপজেলার অমিত্র কুন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় রাবেয়া ও রোকাইয়া নামে যমজ কন্যার।

তিনি আরো বলেন, আমরা সিজার করার আগের দিন পর্যন্ত জানতে পারিনি যমজ শিশুর কথা। এমনকি ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে তাতেও ধরা পড়েনি। যদি শিশু দুটির মাথা অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করা যায় তাহলে খুব ভালো হয়। এজন্য সরকারের সহায়তা চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাবেয়া-রুকাইয়ার বাবা।

ইতোমধ্যে মেয়ে দুটিকে আলাদা করণের উদ্দেশে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ডা. রুহুল আমিনের শরণাপন্ন হয়েছিল পরিবারটি। বয়স কম হওয়ায় অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ডাক্তারের অভিমত।

রফিকুলের স্ত্রী চাটমোহর উপজেলার আটলংকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা খাতুন জানান, মাথা জোড়া হলেও তাদের আচরণ স্বাভাবিক। কিন্তু খাওয়ানো, গোসল করা, কোলে রাখা, ওঠাবসা সবকিছুতে অস্বস্তি কাজ করে। সরকারি বা বেসরকারি সহায়তায় সুচিকিৎসায় যদি তাদের জোড়া মাথা আলাদা করা যেতো তাহলে খুব ভালো হতো।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ড. স. ম. বায়েজীদ উল ইসলাম জানান, জন্মগত ত্রুটির কারণে জোড়া মাথার যমজ শিশুর জন্ম হয়। ভালোভাবে পরীক্ষার পর বোঝা যাবে তাদের মাথা আলাদা করা যাবে কিনা। তবে অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।

জোড়া মাথার যমজ শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পাবনার এক শিক্ষক দম্পত্তি। চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে গত বছর জন্ম নিয়েছে এই যমজ মেয়ে দুটি। কিন্তু তাদের দুজনার মাথা একসঙ্গে লেগে থাকায় চিন্তা বাড়ছে পরিবারের। শিশুর বাবা চাটমোহর উপজেলার অমিত্র কুন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় রাবেয়া ও রোকাইয়া নামে যমজ কন্যার। তিনি আরো বলেন, আমরা সিজার করার আগের দিন পর্যন্ত জানতে পারিনি যমজ শিশুর কথা। এমনকি ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে তাতেও ধরা পড়েনি। যদি শিশু দুটির মাথা অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করা যায় তাহলে খুব ভালো হয়। এজন্য সরকারের সহায়তা চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাবেয়া-রুকাইয়ার বাবা। ইতোমধ্যে মেয়ে দুটিকে আলাদা করণের উদ্দেশে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ডা. রুহুল আমিনের শরণাপন্ন হয়েছিল পরিবারটি। বয়স কম হওয়ায় অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ডাক্তারের অভিমত। রফিকুলের স্ত্রী চাটমোহর উপজেলার আটলংকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা খাতুন জানান, মাথা জোড়া হলেও তাদের আচরণ স্বাভাবিক। কিন্তু খাওয়ানো, গোসল করা, কোলে রাখা, ওঠাবসা সবকিছুতে অস্বস্তি কাজ করে। সরকারি বা বেসরকারি সহায়তায় সুচিকিৎসায় যদি তাদের জোড়া মাথা আলাদা করা যেতো তাহলে খুব ভালো হতো। এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ড. স. ম. বায়েজীদ উল ইসলাম জানান, জন্মগত ত্রুটির কারণে জোড়া মাথার যমজ শিশুর জন্ম হয়। ভালোভাবে পরীক্ষার পর বোঝা যাবে তাদের মাথা আলাদা করা যাবে কিনা। তবে অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।