বাংলা নাম নয়ন তারা। সংস্কৃত নামও তাই। ইংরেজরা নয়নতারাকে চেনেন Peri Winkle নামে। নয়নতারার বৈজ্ঞানিক নাম Vinca rosea (Catharanthus roseus ) এবং পরিবার Apocynaceae..
পরিচয়ঃ নয়নতারা বহু বর্ষীজীবী গুল্ম উদ্ভিদ।
কাণ্ড: গাছ লম্বা দেড় থেকে ৬০ থেকে ৭০ সে.মি.। কান্ড নরম,রসালো ও গাঢ় সবুজ। ডাল পালা এপাশ ও পাশ ছড়ানো। সহজে চারপাশে চড়িয়ে যায়।
পাতা: পাতা গাঢ় সবুজ ৭/৮ সে.মি. লম্বা ও ২/৩ সে.মি প্রসস্ত। পাতার মধ্যে উপশিরা বিদ্যমান। একে কেউ কেউ পয়সা ফুল আবার অনেকে একে বিস্কুট ফুলও বলে থাকেন।
ফুল: সাদা, গোলাপি, হালকা নীল ও সাদার উপর গোলাপী চোখের নয়ন তারা দেখা যায়। ফুল সাদা, গোলাপী, সাদার উপর গোলাপী গন্ধহীণ তবে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ফুেলর পাচঁটি পাপড়ি । প্রত্যেকটি পাপড়িই ৩ সে.মি. পর্যন্ত চওড়া।দলনল সরূ ,প্রায় আড়াই সে.মি. লম্বা। ফুল সারা বছরই ফোটলেও শরৎ ও বসন্ত ঋতুতে বেশি বেশি ফোটে।ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়।
বীজ: বীজ কালো ও অমসৃণ। কালো রঙের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটে। খুবই সহজেই টবে নয়নতারার চাষ করা যায়।
উপকারী অংশঃ নয়নতারা ফুলের গাছে ৬০ টিরও বেশি উপ ক্ষার রয়েছে।এর মধ্যে ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন লিউকেমিয়া রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দুইটি secoiridoial glucosides,ursolic acid, oleanolic acid আছে।
ব্যবহার: উচ্চ রক্তচাপে নয়নতারার একটি গাছ ও শুকনো মুলের ১ গ্রাম,কাচাঁ হলুদ ২ গ্রাম থেতলে এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ক্বাথ করে নিয়ে এক চতুর্থাংশ সিদ্ধ কাথ সকাল ও বিকাল দু’বেলা ৮/১০ দিন খেলে রক্ত চাপ কমে। ক্বাথটি ৫/৬ দিন খেলে কৃমির উপদ্রব কমে এবং ১৫/২০দিন খেলে কৃমি থেকে রোগমুক্ত হওয়া যায়। এছাড়া এতে ডায়াবেটিক রোগও নিয়ন্ত্রিত হয়।
অথবা, উচ্চ রক্তচাপ রোগে সাত দিন নয়নতারার পাতা খেলে রক্তচাপ কমে। এক্ষেত্রে প্রথম দিন ১ কাপ গরম পানিতে ১টি, দ্বিতীয় দিন এক কাপ পানিতে ২টি, তৃতীয় দিন ৩টি, চতুর্থদিন ৪টি, পঞ্চমদিন ৫টি, সপ্তম দিন ৭টি পাতা দিয়ে গরম পানি খেতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসলে আর নয়ণতারার পাতা খাওয়ার প্রয়োজন নেই।