অাকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:
থিলান সামারাবিরা—বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কান এই ব্যাটসম্যানের রেকর্ডটা কিন্তু দারুণ সমৃদ্ধ। ৮১ টেস্টে ৫ হাজার ৪৬২ রান করেছেন ৪৮.৭৬ গড়ে। নিজের দুর্দান্ত ব্যাটিং-কৌশল এখন কাজে লাগাচ্ছেন পেশাদার কোচ হিসেবে। তামিম-সৌম্য-সাকিবদের শেখাচ্ছেন বিশ্বসেরা বোলারদের খেলার নানা কৌশল। গতিময় ক্রিকেটের যুগে তাঁদের দেখিয়ে দিচ্ছেন দ্রুত রান তোলার নানা উপায়। তবে একটি তথ্য সবাইকে অবাকই করবে। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে কোনো দিন ‘ছক্কা’ মারেননি এই ব্যাটসম্যান। টেস্টে অবশ্য ৭টি ছক্কা আছে তাঁর।
টেস্টের তুলনায় সামারাবিরার ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা সাধারণ মানেরই। ৫৩ ম্যাচে এক হাজার রানও নেই তাঁর। গত মাত্র ২৭.৮০। সে হতেই পারে, কিন্তু জীবনে একটিও ছক্কা মারেননি—এই তথ্যটা একটু চমকে দেওয়ার মতোই।
সামারাবিরার জীবনে কোনো দিন ছক্কা না মারার রেকর্ডে যাঁরা চমকে উঠেছেন, অবাক হয়েছেন, তাঁদের জেনে রাখা দরকার, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে কখনোই ছক্কা না মারার তালিকায় আছেন আরও তিন ব্যাটসম্যান—জিওফ বয়কট, মনোজ প্রভাকর ও ডিওন ইব্রাহিম।
প্রভাকর ১৩০টি ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ২৪.১২ গড়ে ১ হাজার ৮৫৮ রান করলেও একটি ছক্কাও মারতে পারেননি। অথচ এই প্রভাকরেরই সেঞ্চুরি আছে দুটি, হাফ সেঞ্চুরি ১১টি। প্রভাকর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ভারতের হয়ে ওপেনিং ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ের শুরুটাও করতেন। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ডামাডোলে শেষ হয়ে যায় ক্যারিয়ার। টেস্টেও প্রভাকরের ছক্কার সংখ্যা কম—৪টি।
জিওফ বয়কট ওয়ানডে খেলেছেন ৩৬টি। গড়ও ৩৬.০৬। ৯টি হাফ সেঞ্চুরি আর ১টি সেঞ্চুরিতে করেছেন ১ হাজার ৮২ রান। ক্রিকেটীয় ব্যাকরণের সর্বোচ্চ অনুসারী এই ব্যাটসম্যান টেস্টে ৮টি ছয় মারলেও ওয়ানডেতে মারতে পারেননি কখনোই।
এই তালিকায় ডিওন ইব্রাহিমের নামটিই সবচেয়ে কম চেনা। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ৮২টি। খেলেছেন ২৯টি টেস্টও। কোনো সংস্করণেই ব্যাটিং গড় আহামরি কিছু নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেটে সামারাবিরা, প্রভাকর কিংবা বয়কটের ছক্কা মারার রেকর্ড থাকলেও ডিওন ইব্রাহিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে ছক্কার অভিজ্ঞতা ছাড়াই। টেস্ট কিংবা ওয়ানডে কোনো সংস্করণেই ছক্কা মারতে পারেননি ইব্রাহিম।