অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদেশে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দশদিন ধরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে খোকন মোল্লা নামে এক প্রতারক। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ও অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ রয়েছে।
ধর্ষিতা গৃহবধূ বলেন, গত ২৪ মে মেডিকেল ও পাসপোর্ট করার কথা বলে দালাল খোকন আমাকে ঢাকার মিরপুরে একটি বাসায় নিয়ে যায়। ২/১ দিন যাওয়ার পর আমি পাসপোর্ট ও মেডিকেল করার কথা বললে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং সেটি আমার অজান্তে ভিডিও করে। এ সময় আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকাও নেয় খোকন মোল্লা। টানা ১০ দিন আমাকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া দালাল খোকন তার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছে আরো টাকা দাবি করে।
এই ঘটনায় আদালতে পৃথক দু’টি মামলা করেছে ঐ গৃহবধূর পরিবার। তবে পুলিশ এখনো মূল আসামিকে আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের সরদারপাড়ার আব্দুস কুদ্দুস ওরফে কুদু মোল্লার পুত্র খোকন মোল্লা (৩৩) এক গৃহবধূকে বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার মিরপুরের একটি বাড়িতে টানা ১০ দিন ধরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় প্রতারক খোকন গৃহবধূর নগ্ন ছবি ও ভিডিও নিজ মোবাইলে ধারণ করে রাখে। ভিডিওটিকে পুঁজি করে বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
গৃহবধূর স্বামী জানান, গত ২৫ জুলাই তার স্ত্রী বাদী হয়ে ঝিনাইদহে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে ঝিনাইদহ আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এখনো ধর্ষক খোকন মোল্লাকে গ্রেফতার করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, আসামিকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা আমি করবো। আর মেয়েরা যাতে প্রলোভনে পড়ে বাইরে না যায় এ ব্যাপারেও সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবির জানান, বুধবার রাতে আদালতের নথি আমাদের কাছে আসে এবং পর্নোগ্রাফি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামী খোকন মোল্লাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে।