ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব হবে: ইশরাক ব্যাটিং ব্যর্থতায় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা ইসরাইল আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির সবচেয়ে বড় হুমকি: এরদোগান নিজ বাড়ির সামনে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা অপরাধ করলে রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না: আইজিপি আগামী বছর রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা জেলেনস্কির সৌদি আরবের মক্কায় ভারী বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যা “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, যেখানে সকল সম্প্রদায় ও নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে” “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী একমাত্র তারেক রহমান” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে আত্মসম্মানের উপর গুরুত্ব দেয় এবং নতজানু নীতিতে বিশ্বাস করে না,:উপদেষ্টা নাহিদ

ডিভোর্সের জন্য দায়ী কবুতর খেলা

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশে বেড়ে যাচ্ছে ডিভোর্সের হার। আর সেখানকার জনপ্রিয় কবুতর খেলার প্রতি মানুষের ভালোবাসাকেই ডিভোর্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হচ্ছে। সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের পূর্বালিঙ্গা রিলিজিয়াস কোর্টের একজন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, তাদের অফিসে জুলাই মাসেই অন্তত ৯০টি ডিভোর্সের পিটিশন হয়েছে। অথচ জুন মাসে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৩।

কোর্টের একজন কর্মকর্তা নূর আফলাহ বলছেন, “যারা ডিভোর্সের পিটিশন করছেন তারা সবাই নারী। তারা অর্থনৈতিক বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন তাদের স্বামীরা কবুতর খেলা নিয়ে খুব বেশি পরিমাণে আসক্ত।” কবুতর খেলা ইন্দোনেশিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে প্রতিযোগিদের সাধারণত অর্থ পুরস্কার দেয়া হয় এবং এই খেলায় যে কবুতর প্রথম হয়, আশা করা হয় তাকে হাজার রুপিতে বিক্রি করা যাবে।

মিস আফলাহ বলছেন, স্বামীরা সারাদিন তাদের কবুতর নিয়ে মেতে থাকে এবং সংসারের প্রতি একটুও মনোযোগ বা সময় না দেয়ার কারণে তাদের স্ত্রীরা অত্যন্ত রাগান্বিত। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থাও এই পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুলেছে।

“পূর্বালিঙ্গায় অনেক নারী শ্রমিক আছে যাদের স্বামীরা বেকার। কিছুই করতে চায় না তারা। বেশিরভাগই ‘পাইলট’ হিসেবে পরিচিত। এখানে ‘পাইলট’ মানে বিমান উড়ানো নয়। এইসব পুরুষ তাদের নিজেদের কবুতরদের খেলায় ভালো প্রতিযোগী বানানোর চেষ্টা মগ্ন থাকে” পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন নূর আফলাহ।

এছাড়া, কবুতর প্রতিযোগিতা নিয়ে যে জুয়া খেলা চলে সেটাও অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।

একজন গ্রামবাসী সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় কবুতর জয়ী হলে কিছু টাকা তার স্বামী তাকে দেয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় সিগারেটের টাকাও নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নেয় ওই ব্যক্তি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিভোর্সের জন্য দায়ী কবুতর খেলা

আপডেট সময় ০৬:৫১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশে বেড়ে যাচ্ছে ডিভোর্সের হার। আর সেখানকার জনপ্রিয় কবুতর খেলার প্রতি মানুষের ভালোবাসাকেই ডিভোর্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হচ্ছে। সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের পূর্বালিঙ্গা রিলিজিয়াস কোর্টের একজন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, তাদের অফিসে জুলাই মাসেই অন্তত ৯০টি ডিভোর্সের পিটিশন হয়েছে। অথচ জুন মাসে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৩।

কোর্টের একজন কর্মকর্তা নূর আফলাহ বলছেন, “যারা ডিভোর্সের পিটিশন করছেন তারা সবাই নারী। তারা অর্থনৈতিক বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন তাদের স্বামীরা কবুতর খেলা নিয়ে খুব বেশি পরিমাণে আসক্ত।” কবুতর খেলা ইন্দোনেশিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে প্রতিযোগিদের সাধারণত অর্থ পুরস্কার দেয়া হয় এবং এই খেলায় যে কবুতর প্রথম হয়, আশা করা হয় তাকে হাজার রুপিতে বিক্রি করা যাবে।

মিস আফলাহ বলছেন, স্বামীরা সারাদিন তাদের কবুতর নিয়ে মেতে থাকে এবং সংসারের প্রতি একটুও মনোযোগ বা সময় না দেয়ার কারণে তাদের স্ত্রীরা অত্যন্ত রাগান্বিত। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থাও এই পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুলেছে।

“পূর্বালিঙ্গায় অনেক নারী শ্রমিক আছে যাদের স্বামীরা বেকার। কিছুই করতে চায় না তারা। বেশিরভাগই ‘পাইলট’ হিসেবে পরিচিত। এখানে ‘পাইলট’ মানে বিমান উড়ানো নয়। এইসব পুরুষ তাদের নিজেদের কবুতরদের খেলায় ভালো প্রতিযোগী বানানোর চেষ্টা মগ্ন থাকে” পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন নূর আফলাহ।

এছাড়া, কবুতর প্রতিযোগিতা নিয়ে যে জুয়া খেলা চলে সেটাও অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।

একজন গ্রামবাসী সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় কবুতর জয়ী হলে কিছু টাকা তার স্বামী তাকে দেয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় সিগারেটের টাকাও নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নেয় ওই ব্যক্তি।