ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা বলেছেন, তিনি কখনোই অসৎ ছিলেন না। ধানচাষিদের ভর্তুকি প্রদান সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ইংলাক মঙ্গলবার ব্যাংককের একটি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এই মামলাগুলো করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক হয়রানির শিকার।

ইংলাকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আদালতে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল ইংলাক বলেন, ভর্তুকি প্রদান সংক্রান্ত নীতি তৃণমূল ও জাতীয় পর্যায়ের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই নীতির কারণে দেশের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ধান প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা অসততা হয়নি। তার ওই সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। এ সময় আদালতের বাইরে ইংলাকের শত শত সমর্থক তার পক্ষে ‘লড়াই চাই!’ ‘লড়তে হবে!’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সালের ৫ আগস্ট থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।

থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের দায়ে ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল নয়জন মন্ত্রীসহ ইংলাককে বরখাস্ত করেন। ২০১৫ সালে তাকে রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

ইংলাক আদালতে আরো বলেন, ‘আমি কখনো আমার দায়িত্ব পালনে পিছপা হইনি। আমি নিষ্ঠার সাথে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি কখনই অসততার আশ্রয় নেইনি। আমি জানি, আমি এক গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।’ ইংলাক আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তার এক হাজারের বেশি সমর্থক জমায়েত হয়। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে তিন শ’ পুলিশ মোতায়েন ছিল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্যার পানি কমার সাথে সাথে জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে

আদালতে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা

আপডেট সময় ০৩:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা বলেছেন, তিনি কখনোই অসৎ ছিলেন না। ধানচাষিদের ভর্তুকি প্রদান সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ইংলাক মঙ্গলবার ব্যাংককের একটি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এই মামলাগুলো করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক হয়রানির শিকার।

ইংলাকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আদালতে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল ইংলাক বলেন, ভর্তুকি প্রদান সংক্রান্ত নীতি তৃণমূল ও জাতীয় পর্যায়ের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই নীতির কারণে দেশের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ধান প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা অসততা হয়নি। তার ওই সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। এ সময় আদালতের বাইরে ইংলাকের শত শত সমর্থক তার পক্ষে ‘লড়াই চাই!’ ‘লড়তে হবে!’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সালের ৫ আগস্ট থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।

থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের দায়ে ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল নয়জন মন্ত্রীসহ ইংলাককে বরখাস্ত করেন। ২০১৫ সালে তাকে রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

ইংলাক আদালতে আরো বলেন, ‘আমি কখনো আমার দায়িত্ব পালনে পিছপা হইনি। আমি নিষ্ঠার সাথে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি কখনই অসততার আশ্রয় নেইনি। আমি জানি, আমি এক গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।’ ইংলাক আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তার এক হাজারের বেশি সমর্থক জমায়েত হয়। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে তিন শ’ পুলিশ মোতায়েন ছিল।