অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় নাপিত জীবন রবিদাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নাপিত জীবন রবিদাসকে জেলার গাবতলীর সোনারায় গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বগুড়া পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রধান আসামি তুফান সরকারসহ তার তিন সহযোগী আতিক, দিপু ও রূপমকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। দুটি মামলারই প্রধান আসামি শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃতি আহ্বায়ক তুফান সরকার। পরবর্তীতে আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার দুপুরে ছাত্রী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত জয়লাল রবিদাসের ছেলে নরসুন্দর জীবন রবিদাসকে গাবতলীর সোনারায় গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অপর আসামি শিমুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে গত ১৭ জুলাই তাকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে, ঘটনা জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা স্বামীকে দায়ী না করে ঘটনার জন্য কিশোরীটিকেই দায়ী করে। এরপর আশা তার বোন সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মার্জিয়া হাসান রুমকির মাধ্যমে ২৮ জুলাই ক্যাডার দিয়ে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী ও তার মাকে তাদের বাদুড়তলার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেয়। পরে নাপিত ডেকে তাদের ন্যাড়া করিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে সেই রাতেই তুফানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী। এ ঘটনার পর ৩০ জুলাই তুফানকে শ্রমিকলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।