অাকাশ নিউজ ডেস্ক:
খুশকি অন্যতম একটি শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়। শরীরের সোবিয়াম গ্রন্থির প্রদাহের ফলে সাধারণত খুশকি হয়। খুশকির প্রভাবে মাথায় চুলকানি ছাড়াও নিয়মিত চুল পড়তে পারে।খুশকির জন্য যদি ব্যক্তিবিশেষে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা হয়, তবে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। আর যদি অনুমানভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, তবে তেমন ভালো ফল আসে না। খুশকি সাধারণত মাথার ত্বক, মুখ, বুক, চোখের পাপড়ি, নাকের দুই পাশে হয়ে থাকে। খুশকি নারীর তুলনায় পুরুষের বেশি হয়।
খুশকি সব বয়সে হলেও তরুণ বয়সে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। খুশকির মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। সাধারণত ছত্রাকের আক্রমণের ফলে এ সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণেও এটি হয়। এ ছাড়া অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, চুলের শুষ্কতা এসব কারণে খুশকি হয়। তবে খুশকি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। মাথার ত্বক থেকে বের হওয়া তেলজাতীয় এক ধরনের পদার্থ ফেবোরিয়া, বাইরের ধুলোবালি, শরীরে হরমোনের সমস্যা, চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার ইত্যাদি কারণে খুশকি হতে পারে। খুশকি প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শ্যাম্পু, মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
ব্যাকটেরিয়ার কারণে চুলে খুশকি হলে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। ফাঙ্গাস সংক্রমিত হলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, আর অ্যালার্জির কারণে খুশকি হলে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ সেবন করতে হবে। এ ছাড়া খুশকি দূর করতে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক শ্যাম্পুও ব্যবহার করা যেতে পারে।যদি খুশকির সমস্যা প্রকট হয়, চুলে কিটোকোনাজল শ্যাম্পু লাগিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এর পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দু’বার করে দুই থেকে চারবার ব্যবহারে খুশকি কমে যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ।