ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব হবে: ইশরাক ব্যাটিং ব্যর্থতায় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা ইসরাইল আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির সবচেয়ে বড় হুমকি: এরদোগান নিজ বাড়ির সামনে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা অপরাধ করলে রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না: আইজিপি আগামী বছর রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা জেলেনস্কির সৌদি আরবের মক্কায় ভারী বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যা “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, যেখানে সকল সম্প্রদায় ও নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে” “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী একমাত্র তারেক রহমান” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে আত্মসম্মানের উপর গুরুত্ব দেয় এবং নতজানু নীতিতে বিশ্বাস করে না,:উপদেষ্টা নাহিদ

তিব্বতে চীনের ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

সিকিম সংলগ্ন ডোকলাম উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পরে তিব্বতে ব্যাপক পরিমাণে সামরিক যানবাহন ও সরঞ্জাম নিয়ে এসেছে চীনের সেনাবাহিনী। বুধবার পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বলে পরিচিত চীন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র পিএলএ ডেইলি জানিয়েছে এ কথা।

মুখপাত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক যানবাহন ও সরঞ্জাম তিব্বতের উত্তরাঞ্চলের কুনলুন পর্বতে নিয়েছে পিএলএর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। পিএএলএর এই কমান্ড জিনজিয়াং, তিব্বত ও ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করে। সামরিক সরঞ্জাম সড়ক ও রেল পথে সেখানে নেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম ভারতের বিরুদ্ধে গত এক মাসে ব্যাপক কঠোর অবস্থান গ্রজণ করেছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে তিব্বত উপত্যকায় সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ নিয়ে মহড়া সম্প্রচার করা হয়। মহড়াস্থলটি ভারত-চীন সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে থাকা ডোকলাম উপত্যকা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। পিএলএর ডেইলি রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়নি, সামরিক সরঞ্জাম মহড়ার সহায়তার জন্য আনা হয়েছে না কী অন্য কোনো কারণে।

সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ ওয়াং দেহুয়া বলেন, যে মাত্রায় সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করা হয়েছে তাতে এটা বোঝা যায় যে চীনের জন্য তার পশ্চিমের সীমান্ত রক্ষা করা কত সহজ। সামরিক অভিযান সম্পূর্ণ রসদ সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। এখন তিব্বত অঞ্চলে খুব ভালো রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে।

সিকিম সীমান্ত সংলগ্ন ভুটানের ডোকালাম মালভূমিতে চীনের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত এক মাস ধরে মুখোমুখি অবস্থানে আছে ভারত ও চীন সেনাবাহিনী। চীনের দাবি তারা নিজস্ব ভূমিতে এই রাস্তা নির্মাণ করছিল এবং ডোকালাম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় তারা।

ভারত ডোকালাম মালভূমিতে চীনের রাস্তা নির্মাণে শঙ্কা প্রকাশ করে, কারণ এতে চীনের সেনাবাহিনী ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সাতটি প্রদেশের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী ‘চিকেন নেক’ প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যাবে। এইজন্য ভারত গভীর নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে চীনকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তিব্বতে চীনের ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন

আপডেট সময় ০৬:৫১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

সিকিম সংলগ্ন ডোকলাম উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পরে তিব্বতে ব্যাপক পরিমাণে সামরিক যানবাহন ও সরঞ্জাম নিয়ে এসেছে চীনের সেনাবাহিনী। বুধবার পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বলে পরিচিত চীন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র পিএলএ ডেইলি জানিয়েছে এ কথা।

মুখপাত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক যানবাহন ও সরঞ্জাম তিব্বতের উত্তরাঞ্চলের কুনলুন পর্বতে নিয়েছে পিএলএর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। পিএএলএর এই কমান্ড জিনজিয়াং, তিব্বত ও ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করে। সামরিক সরঞ্জাম সড়ক ও রেল পথে সেখানে নেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম ভারতের বিরুদ্ধে গত এক মাসে ব্যাপক কঠোর অবস্থান গ্রজণ করেছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে তিব্বত উপত্যকায় সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ নিয়ে মহড়া সম্প্রচার করা হয়। মহড়াস্থলটি ভারত-চীন সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে থাকা ডোকলাম উপত্যকা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। পিএলএর ডেইলি রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়নি, সামরিক সরঞ্জাম মহড়ার সহায়তার জন্য আনা হয়েছে না কী অন্য কোনো কারণে।

সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ ওয়াং দেহুয়া বলেন, যে মাত্রায় সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করা হয়েছে তাতে এটা বোঝা যায় যে চীনের জন্য তার পশ্চিমের সীমান্ত রক্ষা করা কত সহজ। সামরিক অভিযান সম্পূর্ণ রসদ সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। এখন তিব্বত অঞ্চলে খুব ভালো রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে।

সিকিম সীমান্ত সংলগ্ন ভুটানের ডোকালাম মালভূমিতে চীনের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত এক মাস ধরে মুখোমুখি অবস্থানে আছে ভারত ও চীন সেনাবাহিনী। চীনের দাবি তারা নিজস্ব ভূমিতে এই রাস্তা নির্মাণ করছিল এবং ডোকালাম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় তারা।

ভারত ডোকালাম মালভূমিতে চীনের রাস্তা নির্মাণে শঙ্কা প্রকাশ করে, কারণ এতে চীনের সেনাবাহিনী ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সাতটি প্রদেশের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী ‘চিকেন নেক’ প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যাবে। এইজন্য ভারত গভীর নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে চীনকে।