১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল, আ.লীগ-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ৪০

0
94

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর সমর্থকরা মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

আজ বিকালে পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু জনসভা ডাকেন। এ জনসভাকে ঘিরে এমপি সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকরা একই স্থানে একই সময়ে পাল্টা সভা ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

এ জনসভায় যোগ দিতে বিকাল ৩টা থেকে জাংগালিয়া, চরফরাদী, এগারসিন্দুর, বুরুদিয়া, পাটুয়াভাঙ্গা, হোসেন্দী, নারান্দী, চন্ডিপাশা, সুখিয়া, পাকুন্দিয়া পৌরসভা ও কটিয়াদী এলাকা থেকে লগি-বৈঠা, নৌকা, ফেস্টুনসহ ঢাক-ঢোল ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দিতে হাজার হাজার জনতা আসতে থাকেন। পুলিশের বাধা উপেক্ষা এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কয়েক হাজার জনতা পৌরসদরের গরুর হাট এলাকা, টিএন্ডটি রোড ও পাকুন্দিয়া হাই স্কুলের সামনে বিকাল ৪টার দিকে উপস্থিত হন। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও লাঠি পেটায় মিছিলগুলো ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের রাবার বুলেট ও লাঠি পেটায় অন্তত ৪০ জন আহত হন। হৃদয় নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল কবির হোসেন আহত হয়ে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। ওসিসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইট পাটকেলে আহত হন।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ‘এমপি সোহরাব উদ্দিন তার সমর্থকদের দিয়ে পাল্টা মিটিং ডেকে আমার জনসভায় প্রশাসনকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছে। মিছিলে এমপির লোকজনের হামলা ও পুলিশের রাবার বুলেট-টিয়ারশেল এবং তাদের লাঠি পেটায় অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘এর আগেও এমপি সোহরাব উদ্দিন আমার দুইটি জনসভায় প্রশাসনকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছে।’ এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় এমপি মো. সোহরাব উদ্দিনের মোবাইলে কল করা হলে সেটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ কী পরিমাণ টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও হিসাব করা হয়নি।’