অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
দেশ ভাগের সময়ে ডা. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি’র জন্যই আজ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশ, না হলে বাংলা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) চলে যেত। শনিবার দিল্লির নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ভারতীয় জন সঙ্ঘ’এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ওপরে লেখা একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।
বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘১৯৪৬ সালে ধর্মের ভিত্তিতে যখন ভারত ভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেসময় বাংলাতে হিন্দুদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। তখন বাংলার বুদ্ধিজীবীদের ডেকে একটি আন্দোলন গড়ার ডাক দেন তিনি। তিনি তখন গর্ভনর জেনারেলের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন। বাংলা ভাগের নীতির বিরুদ্ধে সে সময় দাঁড়িয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তার এই প্রচেষ্টার কারণেই বাংলা আজ আমাদের সঙ্গে আছে। না হলে বাংলা এমনকি কলকাতা শহরও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) অধীনে চলে যেত’।
অমিত শাহ বলেন, ‘১৯৪০ সালে বাংলা বিধানসভায় একটি বিল আনা হয়। সেটা স্বাধীন ভারতের পক্ষে একটা বড় বিপর্যয় হিসাবে দেখা দিতো। কারণ সেই বিলের উদ্যেশ্য ছিল সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই ইসলামিকরণ করা…কিন্তু শ্যামাপ্রসাদের হস্তক্ষেপ, দুরদর্শিতা ও দৃঢ়তার কারণেই সেটা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল’।
দেশ ভাগে কংগ্রেসকেও নিশানা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করাটা মোটেও উচিত হয়নি। তবুও কংগ্রেস সেই কাজটিই করেছিল। সেসময় ইংল্যান্ডে যখন লেবার পার্টি ক্ষমতায় এসেছিল, কংগ্রেস দেশভাগকে মেনে নিয়েছিল, কিন্তু কেন তা করা হয়েছিল?’
শ্যামাপ্রসাদের দুরদর্শিতার প্রশংসা করে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘সেসময় দেশে কোন দুর্নীতি ছিল না এবং গান্ধীকেও কংগ্রেস ভুলে যায়নি। তবুও শ্যামাপ্রসাদ জন সঙ্ঘের মতো একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কারণ এটা ছিল শ্যামাপ্রসাদের দুরদর্শিতা। সেসময় মাত্র ১০ জন মানুষ নিয়ে সেই সংগঠন তৈরি করলেও আজ বিজেপি’র সদস্য সংখ্যা ১১ কোটি’।