অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় অনেক সময় নানা রকম নির্যাতনের শিকার হতে হয় মায়েদের। তাই বলে হকস্টিক দিয়ে মারপিট? ঠিক এমনটাই ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাবে। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পেটানো হলো মাকে। মেয়ে হওয়ায় শাস্তি হিসাবে দাবি করা হলো সাত লাখ টাকা। ছেলে-মেয়ের বৈষম্য এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারত।
নারকীয় ঘটনা পাঞ্জাবের পাটিয়ালায়। সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ সক্রিয় হয়। মহিলার স্বামী-সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই বধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কন্যাসন্তান হওয়ায় মহিলাকে যথেচ্ছভাবে পেটানো হলো। হকিস্টিক, লাথি। অপমানের কিছু বাকি ছিল না। যারা এই নিগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন তারা ওই মহিলার আত্মীয়। একজন ভাসুর এবং অন্যজন তাঁর এক বন্ধু। বেদম মেরে অজ্ঞান করে দেওয়ার পরও উন্মত্তরা ক্ষান্ত হয়নি। মেয়ে জন্ম দেওয়ার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ওই বধূর থেকে সাত লাখ টাকা চাওয়া হয়। নির্যাতিতার নাম মীনা কাশ্যপ। দলজিৎ সিংয়ের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে মীনার বিয়ে হয়েছিল। এটি মীনার প্রথম সন্তান।
সন্তান হওয়ার খবরে আনন্দ দূরের কথা, এভাবেই পাশবিক অত্যাচার চলে মীনার ওপর। এমনকি মেয়ে হওয়ার জন্য দলজিৎ জানিয়ে দেন, স্ত্রীকে তিনি বাড়িতে তুলবেন না। দলজিতের পরিবারও বধূকে বয়কট করে। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর দলজিতদের ওই নৃশংসতা পুলিশ জানতে পারে। দলজিৎ ও তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর এক অভিযুক্তর খোঁজ চলছে।
মীনার বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা অছিলায় মীনাকে মারধর করতেন দলজিৎ। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানালেও সুরাহা হয়নি। মেয়ে হওয়ার জন্য সাত লাখ টাকা চেয়েছিল দলজিতের পরিবার।