অাকাশ নিউজ ডেস্ক:
তুরাগ নদীর তীর ভূমি দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনার তালিকা সম্পন্নের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে আরো দুই মাস সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। কমিটির সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদউল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট ঢাকার আশপাশের চার নদীর মামলার সীমানা জরিপ অনুযায়ী তুরাগ নদীর তীর ভূমি দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ মোতাবেক গাজীপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেন। কিন্তু আদালতের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে না পেরে সময় চেয়ে আবেদন দাখিল করেন।
ওই আবেদনে বলা হয়, তুরাগ নদী গাজীপুর জেলার ভাকরাল মৌজা হতে রায়েরদিয়া মৌজা পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার বিস্তৃত। তদন্তের প্রয়োজনে দীর্ঘ নদীকূলে পায়ে হেটে এর তীর ভূমি পরিমাপ করে অবৈধ স্থাপনা নির্ধারণ করতে হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ইতোমধ্যে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত সরেজমিন তদন্তকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭ কিলোমিটার নদী ও নদী তীরের তদন্তকাজ অব্যাহত রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে তদন্ত কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। বর্ষাকাল শুরু হয়ে যাওয়ায় আরো দুই মাস সময় প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস সময় আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানি শেষে হাইকোর্ট সময় আবেদন মঞ্জুর করে।
গত ৬ নভেম্বর একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘টাইম টু ডিক্লেয়ার টুরাগ ডেড’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত বছরের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, বিআইডব্লিউটিএকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী তারা আদালতে তালিকা দাখিল করে। কিন্তু রিটকারী বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জানালে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেয়।