অাকাশ স্পোর্টস ডেস্ক:
‘আমি জানি, যেকোনো সিরিজের দুই ম্যাচ খারাপ খেললেই সবাই বলে, মাশরাফিকে অধিনাকত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। আমি অধিনায়কত্ব গ্রহণ করার পর থেকে প্রতিটি সিরিজের আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেই এই কথা শোনার জন্য। যেমন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬.৩ ওবারে ৫৮ রান দিয়ে বসলাম! যথারীতি রব উঠল, মাশরাফিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না কেন? কিন্তু আমি ওসবে কান না দিয়ে কোচ ওয়ালশের কাছে গিয়ে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিলাম। ‘
ক্রিকইনফোর সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে এভাবেই নিজের দুঃখের কথা বলছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটর সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দর্শক-সমর্থকদের এসব উদ্ভট দাবি সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে সরাসরি অধিনায়কের নজরে আসে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আমূল বদলে দেওয়া অধিনায়ক দেখেন কোনো ক্রিকেট ভক্ত আগে-পিছে না ভেবেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। পরের ম্যাচে যখন আবার মাশরাফি উইকেট পাচ্ছেন তখন সেই ভক্তই আবার তার গুণগান করে সোশ্যাল সাইট ভরিয়ে ফেলছেন। এমন ‘গোল্ডফিশ মেমরি’ দর্শক উপমহাদেশে খুব পরিচিত।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক মাশরাফি। পায়ে ৭টি অপারেশনের ধকল নিয়ে, পায়ে টেপ পেঁচিয়ে মাঠে নেমেও তিনি শীর্ষে। ৩৩ বছর বয়সেও তিনি শীর্ষে। এরপরও এত সমালোচনা! এমনকী অনেকে তার শেষে দেখে ফেলেছেন। ম্যাশ নাকি ২০১৯ বিশ্বকাপের পর খেলা ছেড়ে দেবেন- এমনটাও বলছেন অনেকে। দীর্ঘ সাক্ষাতকারে মাশরাফি বলেছেন, ‘এভাবে খেলাটা কঠিন। কিন্তু আমার যতদিন ভালো লাগে ততদিন খেলা চালিয়ে যাব। তাই আমিও এটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেছি। ‘
কেবল মাঠের পারফর্মেন্স নিয়েই যদি সমালোচনা হতো, সেটা একটা বিষয় ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের ‘বিজ্ঞ’ সমর্থকরা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন। বিষয়টি নিয়ে একটু উষ্মা প্রকাশ করলেও মাশরাফি বলেছেন, ‘সমালোচনা আমি গায়ে মাখি না। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণে চুপ থাকতে পারি না। এটা খুব কষ্টদায়ক। নিজের জায়গায় আমি শক্ত। জানি একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে শুধুই পারফর্ম করা। ‘
এদিকে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘মাশরাফির বিকল্প এখনও তৈরী হয়নি। ওর যতদিন ইচ্ছা ততদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলে যাবে। ‘