অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
‘মধুচন্দ্রিমা’ শব্দটা শুনলেই মানুষের মনে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথাই মনে হয়। আরো মনে হয়, সৈকতের ধারে দারুণ একটা হোটেলে উঠেছেন। চকচকে সূর্য, সমুদ্র, বালি আর রাতের পার্টি ছাড়া হানিমুন চিন্তা করা যায়। এমন পরিবেশেই মানুষ কাটিয়ে দেন অসাধারণ একটা হানিমুন। কিন্তু এমন একটা হানিমুন করতে পারেন, যার কথা সারাজীবনে ভুলতে পারবেন না। এক দম্পতি ঠিক তাই করেছেন তার তুলে ধরেছেন অভিজ্ঞতা।
লিথুনিয়ার নব দম্পতি ঠিক করলেন তারা ভিন্ন ঘরানার হানিমুন করবেন। তারা সৈকতে ঝিম মেরে বসে থাকার বদলে রোমাঞ্চকর ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা হাতে নিলেন। তারা বেছে নিলেন আইসল্যান্ড।
যারা বহুদূর রোমাঞ্চকর অভিযানে যেতে প্রস্তুত তারাও চলে যেতে পারেন সেখানে। শুধু যে নব দম্পতিদের যেতে বলা হচ্ছে তা নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়ার দেশ এটি। কিন্তু প্রকৃতির রূপ অবর্ণনীয়। নরডিক আইল্যান্ড নেশনের এক দেশ। আগ্নেয়গিরি, উষ্ণপ্রস্রবন, হট স্প্রিং আর লাভা ফিল্ডের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা ছড়াবে। বিশাল সব গ্লেসিয়ার দেখবেন চোখের সামনে।
ওই দম্পতি কিন্তু সাহসী ভ্রমণ করেছিলেন। রান্নাঘর, বেডরুম, ওয়ারড্রব- এসবই কিন্তু তাদের ব্যাকপ্যাকে পুরে নিয়েছিলেন। কিন্তু এর দরকার নেই।যদি রেইকজাভিকে যান মে থাকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে, তাহলে দেখতে পারবেন প্রকৃতির এক বিস্ময়কর প্রাণী তিমি। এতদিন বইয়ে পড়েছেন আর টিভিতে দেখেছেন। কিন্তু চোখের সামনে দেখার অভিজ্ঞতাই হবে আলাদা।
আগ্নেয়গিরির উৎপাতের নিচেই রয়েছে প্রচুর উষ্ণ প্রস্রবন। গোটা দেশে মাটির নিচে বিরাজ করে হট স্প্রিং। থার্মাল পুলগুলো কিন্তু দারুণ উপভোগ্য বিষয়।দক্ষিণ-পশ্চিমের স্ট্রোক্কুর রয়েছে ভিটা নদীর পাশেই। ফাউন্টেন উষ্ণ প্রস্রবনের জন্য দারুণ বিখ্যাত এই স্থানটি।আরো আছে বিভিন্ন রংয়ের রাইয়োলাইট মাউন্টেন। চারদিকে লাভা ভূমি। এই অঞ্চল কিন্তু পর্যটকদের খুবই আকর্ষণীয় বিষয়।আইসল্যান্ডে গেলেই মনে হবে ভিন্ন কোনো জগতে চলে এসেছেন। নিশ্চিতভাবেই মনে হবে, এখানে কেন এলাম না আমি?