অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভ্রমণপথে গুরুত্বপূর্ণ এক গন্তব্য লাওস। এখানে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ঠিক তেমনই রয়েছে। মানুষের কারুকাজ খুব বেশি প্রতিষ্ঠা পায়নি। ফলে প্রকৃতির আসল রূপের স্বাদ নিয়ে লাওস ভ্রমণপিয়াসীদের এক দারুণ গন্তব্য। গোটা দেশে প্রকৃতি তার অপার মহিমা ছড়িয়ে দিয়েছে। এসব সৌন্দর্য আস্বাদনে দেশটির অভ্যন্তরে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে না। চারপাশে দৃষ্টি দিলেই মনটা ভরে উঠবে। সেখানে দেখার আছে অনেক কিছু। এখানে জেনে নিন গুটিকয়ের স্থানের নাম।
ফা থাট লুয়াং
এখানে রয়েছে ‘দ্য গোল্ডেন স্টুপা অব ফা থাট লুয়াং’। এটা লাওসের জাতীয় প্রতীকের একটি। মাঝের প্রধান গম্বুজটিকে ঢেকে রেখেছে ৪৫ মিটার উঁচু স্বর্ণালী পাতা। এটাকে রাজধানী ভিয়েনতিয়ানের যেকোনো স্থান থেকে দেখা যায়। ১৫৬৬ সালে নির্মিত এই স্টুপা পরবর্তিতে বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। বলা হয়, তৃতীয় শতকে বুদ্ধের কয়েকজন শীষ্য ভারত থেকে একটি পবিত্র বুকের হাড় আনেন। সেখানেই গড়ে ওঠে এই স্টুপা।
বুদ্ধা পার্ক
রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি। গৌতম বুদ্ধ ও হিন্দু দেবতাদের বেশ কয়েকটি মূর্তি রয়েছে এখানে। ১৯৫৮ সালে এই পার্কটি তৈরি করেন বুদ্ধের অনুসারী এক সন্ন্যাসী লুয়াং পু বোনলিয়াও সুলিয়াত। অদ্ভুত এই পার্কে ছড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির নিটোল রূপ। থাইল্যান্ড থেকে লাওস প্রবেশের রাস্তায় এই পার্কের দেখা মেলে। পার্কজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ২ শতাধিক মানুষ, দেবতা, প্রাণী আর দানবের মূর্তি।
পবিত্র পাহাড়
ফু সাই বা পবিত্র পাহাড় লুয়াং প্রাবাংয়ের আধ্যাত্মবাদের মূল কেন্দ্র। ১০০ মিটার উঁচু হিললক টাওয়ার ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইটে স্থান করে নিয়েছে। এ শহরে প্রবেশের সময়ই প্রথম এ পাহাড় দেখতে পারবেন। মাটি থেকে ৩৫৫ পা ওপরের দিকে গেলেই পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছবেন। অর্ধেক ওঠার পরই বুদ্ধের অনেক মূর্তি দেখতে পাবেন।
কুয়াং সি জলপ্রপাত
লুয়াং প্রাবাং থেকে ২০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই অসাধারণ জলপ্রপাত। আশপাশে ঘোরার জন্য দারুণ এক স্থান এই জলপ্রপাত। পাহাড়ের ওপরে বেশ কয়েকটি উৎসের পানি এক হয়ে ৬০ কিলোমিটার নিচে জলপ্রপাত হয়ে পড়ছে। যেখানে পানি পড়ছে সেখানে সাঁতারের দারুণ স্থান রয়েছে।