এখনই বাসায় ফেরা হচ্ছে না খালেদা জিয়ার

0
11

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর হতে বাসায় বসে চিকিৎসা চলছিলো বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার। কিন্তু এরমধ্যে গত কিছুদিন ধরে থেমে থেমে জ্বর আসায় কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার চিকিৎসকরা। পরে তার শারীরিক চেকআপের জন্য গত মঙ্গলবার নেয়া হয় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে। সেদিনই ভর্তি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে।

চিকিৎসকরা বলছেন, শারীরিক যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে তার রিপোর্ট অনেকটা অস্বাভাবিক। তাই সুস্থতার জন্য কিছুদিন হাসপাতালে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।

যদিও দলের এবং খালেদা জিয়ার পরিবার এখনো উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার দাবি করছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অবস্থান বদল হয়নি।

চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বেগম জিয়ার শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম। এছাড়া লিভার, কিডনির অবস্থাও অপরিবর্তিত। বৃহস্পতিবার জ্বর এলেও শুক্রবার সেটা কমে গেছে।

তবে থেমে থেমে জ্বর আসার কারণ খুঁজছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে শুক্রবার রাতে ডা. শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক করেছে। পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম কিভাবে করা হবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন চিকিৎসকরা।

এই বৈঠকেই শারীরিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা। এক্ষেত্রে সূত্রের ভাষ্য, খালেদা জিয়াকে শারীরিক উন্নতির জন্য আরও কিছু দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।করেছেন

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, চেয়ারপারসননের শারীরিক উন্নতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। কেবল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা সেগুলো পর্যালোচনা করছেন। আগামী দু’একদিনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।

গত এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পরে ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ারে ভর্তির পর চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন রাতে বাসায় ফেরেন তিনি। গত ১৮ আগস্ট মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেন। গত ১৯ জুলাই এই হাসপাতালে টিকার প্রথম ডোজ নেন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার। পরে উচ্চ আদালতে আরও পাঁচ বছর সাজা বাড়ে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরে চতুর্থ দফায় বেগম জিয়ার মুক্তির সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

যদিও পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে তার জামিনের জন্য বারবার দাবি করা হচ্ছে। জামিন না হওয়ার জন্য সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।

এদিকে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় সারা দেশে প্রার্থনা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশের জেলা ও মহানগরে দোয়া মাহফিল হয়েছে। আজও অনেক জায়গায় চলছে দোয়া।