ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধূমপান ছাড়ুন একদিনেই

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

ধূমপানের কারণে ফুসফুস ও অন্ত্রে ক্যানসার হতে পারে। ধূমপান হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া মুখের ক্যানসারের গুরুত্বপূর্ণ কারণও এই ধূমপান। কিন্তু কাউকে ধূমপান ছাড়ার কথা বলা হলেও তিনি বলেন, এতোদিনের অভ্যাস কি আর একদিনে ছাড়া যায়। ধীরে ধীরে ছেড়ে দেব।

তবে গবেষণা বলছে, অন্য কথা। ধূমপান ছাড়লে ধীরে ধীরে নয়, একদিনেই ছাড়তে হবে। কারণ যারা ধীরে ধীরে ধূমপান ত্যাগ করার কথা বলেন তাদের থেকে যারা একদিনেই ছেড়ে দিতে চান, তারাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন।

মার্কিন একদল গবেষক মোট ৬৯৭ জন ধূমপায়ীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এমনই তথ্য উদঘাটন করেছেন। গবেষণায় ধূমপায়ীদের দু’ভাগে ভাগ করা হয়। একদলকে বলা হয় একটা বিশেষ দিন ঠিক করে হঠাৎই ধূমপান ছেড়ে দিতে। যা করতে তাদের সাহায্য করেন এক দল নার্স। অন্য দলকে বলা হয়- দু’সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে ছাড়তে। দু’দলকেই একই রকম কাউন্সেলিং ও নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। দ্বিতীয় দল দু’সপ্তাহে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সিগারেট কমিয়ে আনতে পারলেও পুরোপুরি ছেড়ে দিতে পারেনি।

এরপর প্রথমে চার সপ্তাহ ও পরে ছয় মাসের বিরতি দিয়ে আবার দু’দলকেই পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে সিগারেট পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দলের থেকে প্রথম দলের হার ২৫ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার ফল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্যার পানি কমার সাথে সাথে জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে

ধূমপান ছাড়ুন একদিনেই

আপডেট সময় ০৩:৪২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০১৭

অাকাশ নিউজ ডেস্ক:

ধূমপানের কারণে ফুসফুস ও অন্ত্রে ক্যানসার হতে পারে। ধূমপান হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া মুখের ক্যানসারের গুরুত্বপূর্ণ কারণও এই ধূমপান। কিন্তু কাউকে ধূমপান ছাড়ার কথা বলা হলেও তিনি বলেন, এতোদিনের অভ্যাস কি আর একদিনে ছাড়া যায়। ধীরে ধীরে ছেড়ে দেব।

তবে গবেষণা বলছে, অন্য কথা। ধূমপান ছাড়লে ধীরে ধীরে নয়, একদিনেই ছাড়তে হবে। কারণ যারা ধীরে ধীরে ধূমপান ত্যাগ করার কথা বলেন তাদের থেকে যারা একদিনেই ছেড়ে দিতে চান, তারাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন।

মার্কিন একদল গবেষক মোট ৬৯৭ জন ধূমপায়ীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এমনই তথ্য উদঘাটন করেছেন। গবেষণায় ধূমপায়ীদের দু’ভাগে ভাগ করা হয়। একদলকে বলা হয় একটা বিশেষ দিন ঠিক করে হঠাৎই ধূমপান ছেড়ে দিতে। যা করতে তাদের সাহায্য করেন এক দল নার্স। অন্য দলকে বলা হয়- দু’সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে ছাড়তে। দু’দলকেই একই রকম কাউন্সেলিং ও নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। দ্বিতীয় দল দু’সপ্তাহে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সিগারেট কমিয়ে আনতে পারলেও পুরোপুরি ছেড়ে দিতে পারেনি।

এরপর প্রথমে চার সপ্তাহ ও পরে ছয় মাসের বিরতি দিয়ে আবার দু’দলকেই পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে সিগারেট পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দলের থেকে প্রথম দলের হার ২৫ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার ফল।