অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তাবিত বিলে স্বাক্ষর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ (প্রতিনিধি পরিষদ) ও সিনেটে বিলটি পাস হয়েছে। এখন ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর বিলটি আইনে পরিণত হবে।২৫ জুলাই প্রতিনিধি পরিষদ বিলটি অনুমোদন করে। এরপর ২৭ জুলাই সিনেটে কোনও ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই পাস হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ ধারণা করা হচ্ছিল, ট্রাম্প বিলটিতে ভেটো দিতে পারেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের নারী মুখপাত্র সারাহ হাকেবি জানান, বিলটির প্রথম সংস্করণ সম্পর্কে ট্রাম্প অবগত ছিলেন। বিলটির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন। চূড়ান্ত সংস্করণটি সূক্ষ্ণভাবে বিশ্লেষণ করে বিলটি অনুমোদন দিয়েছেন। এখন তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন।বিলটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনে গৃহীত রাশিয়াবিরোধী পদক্ষেপগুলোরই ধারাবাহিকতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কারণেই ওবামা প্রশাসন বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০১৬ সালের ২৬ ও ২৯ জুলাই ওবামার নির্বাহী আদেশে এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিরক্ষা খাতের সম্পর্কে বাধা তৈরি করবে। এছাড়া এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশেষত জ্বালানি খাতের রুশ কোম্পানিগুলো পশ্চিমা কোনও দেশ থেকে ঋণ পাবে না।বিলটি মার্কিন সরকারকে ব্যাংকে জমাকৃত সম্পদ জব্দ, ভিসা না দেওয়াসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদন দেবে। এছাড়া এতে রুশ সরকারের স্বার্থে মার্কিন সাইবার নিরাপত্তাকে খাটো করার অভিযোগমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ারও সুযোগ করে দেবে।
নতুন বিলটিতে আগের আইনের কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইলেই রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারবেন না এবং সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেই হবে।নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। এরই মধ্যে রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করার পর রাশিয়াকে সাজা দেওয়ার অংশ হিসেবে দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছিল। আর ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত তদন্ত চলার মধ্যেই নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে বিতর্ক করলো মার্কিন কংগ্রেস। অবশ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।