ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ভারতে লাখ টাকায় বাঘের খাদ্য হচ্ছে বৃদ্ধরা!

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

বনের পাশে বসতি হলে প্রায়ই বাঘের আক্রমনের খবর আশে। এ আক্রমন গরু, ছাগল এমনকি মানুষের উপরও হয়ে থাকে। তবে এর ব্যতিক্রম ভারতের উত্তর প্রদেশের পিলিভিট টাইগার রিজার্ভ অঞ্চলে। এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই এ বনের পাশে অবস্থিত ছোট্ট গ্রামটিতে বাঘের আক্রমণে মারা গেছে সাতজন বৃদ্ধ।

এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অভিনব তথ্য নজরে আসে পিলিভিট টাইগার রিজার্ভ (পিটিআর) কর্তৃপক্ষের। বেশ কয়েকটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে তারা বুঝতে পারেন ঘটনাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটানো হচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বাঘের আক্রমণে কেউ মারা গেলে বন অধিদফতরের পক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। গ্রামের লোকজন এ টাকার লোভে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাড়ির বৃদ্ধদের বাঘের খাদ্য হিসেবে বনে পাঠাচ্ছেন। তবে তারা এটাও ধারণা করছেন যে, ঘটনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবেই যুক্ত থাকছেন পরিবারের বৃদ্ধরাও।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রামে জার্নেল সিংহ নামে ষাটোর্ধ্ব এক কৃষক এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার দাবি, গ্রামবাসী জঙ্গল থেকে তেমন সুবিধা পান না। দারিদ্র্যের রোষানলে পড়ে তারা বাধ্য হয়ে এ কাজ করেন। বৃদ্ধরাও ব্যাপারটি মেনে নিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা কালিম আথার জানিয়েছেন, প্রতিটি ঘটনা আলাদা আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে ব্যুরোর কাছে। পূর্ণ প্রতিবেদন জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অধিদফতরের কাছেও পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এ ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে লাখ টাকায় বাঘের খাদ্য হচ্ছে বৃদ্ধরা!

আপডেট সময় ০১:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

বনের পাশে বসতি হলে প্রায়ই বাঘের আক্রমনের খবর আশে। এ আক্রমন গরু, ছাগল এমনকি মানুষের উপরও হয়ে থাকে। তবে এর ব্যতিক্রম ভারতের উত্তর প্রদেশের পিলিভিট টাইগার রিজার্ভ অঞ্চলে। এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই এ বনের পাশে অবস্থিত ছোট্ট গ্রামটিতে বাঘের আক্রমণে মারা গেছে সাতজন বৃদ্ধ।

এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অভিনব তথ্য নজরে আসে পিলিভিট টাইগার রিজার্ভ (পিটিআর) কর্তৃপক্ষের। বেশ কয়েকটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে তারা বুঝতে পারেন ঘটনাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটানো হচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বাঘের আক্রমণে কেউ মারা গেলে বন অধিদফতরের পক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। গ্রামের লোকজন এ টাকার লোভে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাড়ির বৃদ্ধদের বাঘের খাদ্য হিসেবে বনে পাঠাচ্ছেন। তবে তারা এটাও ধারণা করছেন যে, ঘটনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবেই যুক্ত থাকছেন পরিবারের বৃদ্ধরাও।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রামে জার্নেল সিংহ নামে ষাটোর্ধ্ব এক কৃষক এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার দাবি, গ্রামবাসী জঙ্গল থেকে তেমন সুবিধা পান না। দারিদ্র্যের রোষানলে পড়ে তারা বাধ্য হয়ে এ কাজ করেন। বৃদ্ধরাও ব্যাপারটি মেনে নিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা কালিম আথার জানিয়েছেন, প্রতিটি ঘটনা আলাদা আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে ব্যুরোর কাছে। পূর্ণ প্রতিবেদন জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অধিদফতরের কাছেও পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এ ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে।