উৎসাহ-উদ্দীপনায় বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত

0
263

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

উৎসাহ-উদ্দীপনায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আজ রবিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ বিকেলে বঙ্গভবনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম অতিথিদের স্বাগত জানান। এর আগে বৌদ্ধধর্মীয় নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান।

মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও নির্বাণ- এই তিন ঘটনা এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল। ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্য ময়। বিশ্বের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।

বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে দিবসটি উৎসবমুখর এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপনের জন্য দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল দশটায় বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদান এবং সন্ধ্যে ছয়টায় আলোচনা সভা।

রাজধানীর কমলাপুরে ঐতিহাসিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত ‘বুদ্ধপূর্ণিমার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সব ধর্মের মানুষকে এক হয়ে ধর্মের মুখোশ পরা ধর্মনাশী ধর্মবাজদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধার্মিকেরা ধর্মচর্চা করেন আর ধর্মের মুখোশধারী ধর্মবাজরা ধর্মনাশ করে। তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও সমাজে বিশৃংখলাকারী।’

সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে সভায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে এদিন পূজা-অর্চনার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর পরিচালনায় পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ ও সমবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করে।

সারা দেশে রাষ্ট্রীয় ছুটির এ দিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা এবং বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়।

বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হন। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ- এই তিন স্মৃতি বিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসাবে পালন করেন বুদ্ধের ভক্তরা।