অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
নতুন উপাচার্য নির্বাচন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ অধিবেশন বসে।
উপাচার্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাবির শিক্ষকরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের একাংশ এ নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছেন। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ বা ডাকসু নির্বাচন ছাড়া উপাচার্য বেছে নেওয়াকে অযৌক্তিক বলে দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার অধিবেশন শুরুর আগে তারা সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
সিনেটের বিশেষ এ অধিবেশনে তিনজনের ‘উপাচার্য প্যানেল’ নির্বাচন করা হবে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ আগস্ট। এর আগেই এ অধিবেশনে নির্বাচিত তিনজনের প্যানেল থেকে একজনকে পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে বেছে নেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সিনেটের এ বিশেষ অধিবেশনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনাও রয়েছে। সিনেটের ১০৫টি পদের মধ্যে ৫০টি শূন্য থাকায় এবং রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের আগেই সিনেট অধিবেশন আহ্বান করায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুলাই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে ঢাবির সিনেটের বিশেষ অধিবেশনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। কিন্তু তার দু’দিন পর ওই রায় ৩০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেটের এ বিশেষ সভা বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল। এছাড়া,সিনেট অধিবেশনে ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে শনিবার বিকাল ৩টায় সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে মানববন্ধনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীদের একাংশ।
শিক্ষার্থীরা বলছেন,তিন দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয় শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়াই। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অস্তিত্বকে স্বীকার না করার শামিল।