প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

0
157

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:  

কুমিল্লায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে মো. রনি নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। তিনি জেলার সদর উপজেলার বারপাড়া এলাকার কৃষ্ণপুর সর্দার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে।

এ মামলার বাদী ওই প্রবাসীর স্ত্রীও একই এলাকার বাসিন্দা। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাদী ও অভিযুক্তদের জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন সেলে হাজির হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নোটিশ দিয়েছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।

সূত্র জানায়, ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা, নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগে গত ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি করেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় শুক্রবার। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে এক সন্তানের জননী ওই প্রবাসীর স্ত্রী শিশু পুত্রসহ তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। একই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা রনি বিভিন্ন সময় তাকে কু-প্রস্তাব দিতেন। এ নিয়ে অতীতে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে ছাত্রলীগ নেতা রনি আর এই রকম করবে না বলে অঙ্গীকার করে।

গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় ওই নারী চিৎকার করলে সে তাকে মারধর করে।

শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার চকবাজার ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বলেন, আদালত ওই মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন সেলকে নির্দেশ দেন। সেখান থেকে আমাদের বলা হয়েছে দুই পক্ষকে নোটিশ দিয়ে আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হাজির হতে বলার জন্য। আমরা দুই পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। সেখানেই বিষয়টির বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হবে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা রনি বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যেহেতু তিনি মামলা করেছেন, আমরাও আইনিভাবে জবাব দেব।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল বলেন, আমি এখনো বিষয়টি জানি না। তবে মামলায় তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। কোনো অপরাধ করে দলীয় পরিচয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।