আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আলোচিত বিকাশ চন্দ্র বর্মণ (১৬) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের মাত্র সাত দিনের মধ্যেই ক্লু লেস এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং মূল ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দামি মোবাইল ছিনিয়ে নিতেই তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়; আর ফেলে যাওয়া ঘাতকের জুতার সূত্র ধরেই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মঙ্গলবার এক প্রেস কনফারেন্সেরের মাধ্যমে এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘাতকের গ্রেফতারসহ স্বীকারোক্তি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম-উল আহসান, মুরাদনগর থানার ওসি নাহিদ আহাম্মেদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা।
নিহত বিকাশ চন্দ্র বর্মণ উপজেলা সদরের প্রহল্লাদ বর্মণের ছেলে।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৩১ অক্টোবর কুমিল্লার মুরাদনগরে লক্ষ্মীপূজা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন বিকাশ চন্দ্র বর্মন। তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা প্রহল্লাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিখোঁজের তিন দিন পর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মূলত পূজা অর্চনায় ভিকটিম বিকাশের হাতে থাকা লাভা ব্র্যান্ডের একটি দামি মোবাইল ফোন দেখে সেটি ছিনিয়ে নিতে তার পিছু নেয় উপজেলার করিমপুর গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার ছেলে মো. শাকিব (২৪)।
পূজা থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে বিকাশকে আটক করে ফোনটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি প্রতিহত করেন। এ সময় তাকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় এবং মরদেহ পাশের একটি পুকুরে কচুরিপানায় ফেলে দেয়া হয়।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর মুরাদনগর থানার ওসি নাহিদ আহাম্মেদ এবং এসআই মোর্শেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।
ঘটনাস্থলে ঘাতকের ফেলে যাওয়া একটি জুতা এবং ভিকটিমের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইলের সিমকার্ডের সূত্র ধরে পুলিশ ক্লু উদঘাটনে এগিয়ে যায়।
সোমবার চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক শাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত এবং হত্যার বিবরণ দেন।