শেখ হাসিনা আছে বলেই দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান: খালিদ

0
33

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব থাকার কারণেই দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র বিদ্যমান আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন সরকারের সমালোচনা করতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে, লিখতে পারে এবং জানতে পারে। আগে মানুষের এসব অধিকার ছিল না।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া ও সিডনি আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সময় রবিবার দুপুরে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির রকটেলের একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদ মাহমুদ বলেন, এ যাবত বাংলাদেশের যত অর্জন সব আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন। তারপর দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা তাকে পঁচাত্তরে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দীর্ঘ সময় পর আবার আওয়ামী লীগই দেশে সাংবিধানিক ধারা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও পঁচাত্তরের জাতির পিতার খুনিদের বিচারেও শেখ হাসিনার সরকার অপরাধীদের আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের জিয়াউর রহমান রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল। আর পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার সবাইকে আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দিয়ে বিচার সম্পন্ন করেছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, তবে যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিবে এটাই সুশাসন ও আইনের শাসন।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আজকে অনেকে আইনকে ‘খেলনা’ বলছেন- পঁচাত্তরের পর যখন বিনা বিচারে শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে হত্যা করা হল তখন তিনি কোথায় ছিলেন। তিনি কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় একদিনও ট্রাইব্যুনালে যাননি। তার মেয়ের জামাই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিশ্বব্যাপী দুতিয়ালি করে বেরিয়েছে। দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান বিএনপির দায়িত্ব নেয়ায় আজকে তিনি বলছেন, এর মূল্যায়ন দেশবাসী করবে। তাহলে তিনি কি দেশের বাইরের লোক। তিনি এই দেশের নাগরিক না। কিভাবে একজন দুর্নীতিবাজের পক্ষে তিনি সাফাই গান!

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক সিরাজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বদিউল হক, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাওসুল আজম শাহজাদা প্রমুখ।