নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখার উদ্যোগ

0
74

আকাশ জাতীয় ডেস্ক: 

কোম্পানিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

ইতোপূর্বে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো কয়টা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রিমিয়াম আয়ের অর্থ গ্রহণ করতে পারবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে আইডিআরএ।

২০১৯ সালের ২ জুলাই একটি সার্কুলার জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ জানিয়ে দেয়, সর্বোচ্চ তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম থেকে আয় করা অর্থ গ্রহণ করতে পারবে কোম্পানিগুলো। তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বেশি অ্যাকাউন্ট ওই বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যেক নন-লাইফ জীবন বীমা গ্রাহকের মূলধন সংরক্ষণের জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অন্যান্য আয় জমার জন্য একটি, বীমা দাবির অর্থ জমার জন্য একটি এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় সংক্রান্ত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে।

কোনোভাবে বীমা কোম্পানির বীমা দাবি, কমিশন, বেতন ও মজুরি প্রদানে নগদ টাকা পরিশোধের অনুমতি নেই।

বীমা কোম্পানির শাখাগুলো তাদের ব্যয় ব্যবস্থাপনার জন্য কেবলমাত্র একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।

নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন সংস্থাকে অবহিত করতে বলা হয়েছিল।

নির্দেশনা জারির দেড় বছর পর বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো কয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলছে কিনা তা তদারকি করার উদ্যোগ নিয়েছে।

দেশে কার্যরত ৪৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথমে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৮৯১ ধারা ৫ মতে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যাংক হিসাবের বিবরণী দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সম্মত হন যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণী দেওয়া যেতে পারে।

অর্থ-মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চিঠির বরাত দিয়ে বলেন, নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো এখনো এজেন্টদের ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দেয়। তারা ব্যবসার জন্য অনৈতিক প্রতিযোগিতায় জড়িত। এজন্য তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়গুলো পরীক্ষা করতে হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।