নির্বাচনে জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই: ইসি রফিকুল

0
177

অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:

আসন্ন নির্বাচনে জান-মাল নিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আশঙ্কার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

শনিবার সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে চৌকিদার থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী সবাই থাকবে। কাজেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাববেন না।

‘শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখবেন।’

প্রশিক্ষকদের তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া তারা যেন কোথাও যেতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

কেন্দ্রে আসতে পারবে কিনা, কেন্দ্রে গেলে তো ভোট দেবো, এ রকমও প্রশ্ন আসছে জানিয়ে এ কমিশনার বলেন, এজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছে।

‘দরকার হলে আরো ব্যবস্থা নেবো, যাতে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরেও যদি কোনো দুর্ঘটনা হয়, তবে কথা দিচ্ছি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচনের প্লানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান-সম্মান, ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।

‘নির্বাচনের মালামাল গ্রহণের সময় সবকিছু বুঝে নেবেন। এটা কিন্তু আইনে বলা নেই। তারপরও মালামাল এবং ব্যালট সবকিছু দেখে গ্রহণ করবেন।’

তিনি বলেন, এমনও তো হতে পারে সেখানে ব্যালটের বদলে সাদা কাগজ চলে আসলো। এসব কারণেই সবকিছু বুঝে নেবেন।

‘এগুলো আপনাদের দায়িত্বে থাকবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা কারও কাছে এগুলো রেখে কোথাও যাবেন না। তারাও ব্যালটের অপব্যবহার করতে পারেন, যদিও তারা তা করবেন না,’ বললেন এই ইসি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, সার্বক্ষণিক এগুলোর সঙ্গে থাকবেন। কারণ এগুলো নেয়ার সময় আপনি (প্রিজাইডিং অফিসার) সই করে নেবেন। তাই এর দায়দায়িত্বও আপনার।

প্রকাশ্যে ভোট দেয়া বেআইনি উল্লেখ করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অ্যালাউ না করতে নির্দেশনা দেন এই কমিশনার।

তিনি বলেন, আপনারা কাউকে ব্যালট পেপার দিয়ে দিলেন, উনি গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিলেন। আমার ভোট আমি প্রকাশ্যে দিয়েছি অসুবিধা কি? একথা অনেকেই বলতে পারেন।

‘যেহেতু আইনে এটা পারমিট করে না। আপনারাও অ্যালাউ করবেন না।’

‘প্রশিক্ষণার্থীকেও (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) বলবেন- ডোন্ট অ্যালাউ ইট। কারণ এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেআইনি এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে,’ বললেন রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা-টেলিভিশনে দেখতে পাই, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত কাজটা করেন, তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কথা নয়।

‘যদি আপনি সেটিসফায়েড হন। সে সত্যিকার অর্থে ভোটার, তার ভোটটা অন্যকেউ দিয়ে গেছে। জাস্ট অ্যালাউ হিম উইদাউট এনি কোয়েশ্চেন।’ এই ইসি বলেন, আপনারা যদি আইনটাকে অনুসরণ করেন। তবে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, শিডিউলে ৪৬-৪৫ দিন বা যতদিনই থাকুক না কেনো, নির্বাচন মানে একদিন, মানে সেই নির্বাচনের দিন। এই নির্বাচনের দিন কি হলো, এটা যদি ঠিক না হয়, এটা যদি আইনানুগ না হয়, তাহলে পরে কিন্তু আমরা সবাই প্রশ্নবিদ্ধ হবো।

‘ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোর করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।’