মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা

0
63

আকাশ জাতীয় ডেস্ক: 

একজন সহকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আন্দোলনরত মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে অনলাইনসহ সব প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ রাখবেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন মানসিক চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস বা বিএপি-র সহ-সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম।

চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘মানসিক রোগের যারা রোগী তাদের জন্যও এটা অত্যন্ত কষ্টের। আমরাও দুঃখিত। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের চিকিৎসার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হাসপাতালের তদন্ত প্রতিবেদনে এটা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো পর্যায়েই ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।’

গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম। পরে হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তাতে দেখা যায়, একদল ব্যক্তি হাসপাতালে যাওয়ার পর তাকে একটি রুমে নিয়ে মারধর করছেন। অভিযোগ ওঠে যে, এই মারধরের সময় ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে যারা আনিসুল করিমকে টেনে হিঁচড়ে ওই কামরাটিতে নিয়ে যায় তারা কেউই চিকিৎসক ছিলেন না। এদের মধ্যে চারজন ওয়ার্ড বয়, দুজন সমন্বয়কারী, আর কয়েকজন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিল। এদেরকেসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার পরামর্শে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আদাবরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। ডাক্তার মামুন মাইন্ড এইড হাসপাতাল ছাড়াও টাঙ্গাইলের একটি এবং ঢাকার আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, কমিশনের ভিত্তিতে তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে রোগী পাঠাতেন মাইন এই হাসপাতালে।