অাকাশ জাতীয় ডেস্ক:
২০১৭-১৮ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি খাতে ৩৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ও সেবা খাতে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক্সপোর্ট টার্গেট বিষয়ক এক বৈঠকে এ লক্ষ্যমাত্রার কথা জানানো হয়। সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতে রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রপ্তানির এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।
তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজস্ব বোর্ডের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
তোফায়েল আহমেদ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন হাজার ৭০০ কোটি (৩৭ বিলিয়ন) ডলার। অর্জিত হয়েছে প্রায় ৩৪ দশমিক ৮৩৫ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবার সম্মিলিত চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
গত বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজার ধসের পর সারা বিশ্বে নেতিবাচক প্রচারণা, ইউরোর দরপতন, শিল্পকারখানার মালিকদের আধুনিকায়ন করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থব্যয়, রপ্তানিকৃত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে রপ্তানি কম হয়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতিসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা রপ্তানি কম হওয়ার কারণ হিসেবে ট্রাফিক জ্যাম, বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডে সমস্যা, সড়ক অবকাঠামো খাতে সমস্যা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকাকে চিহ্নিত করেন। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে স্যাম্পল কালেকশনে দুই একদিনের জায়গায় ১০-১৫ দিন লেগে যাওয়া, আন্তর্জাতিক অস্থিরতাকেও রপ্তানি কম হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী নেতারা।