এবার ১৭ হাজার টন ভাঙা চাল আমদানির অনুমতি

0
17

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ও স্থিতিশীল রাখতে সিদ্ধ, আতপের পর এবার বেসরকারি পর্যায়ে ভাঙা চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৭ হাজার টন ভাঙা চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে এলসি খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে বাকি চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে।

শর্তে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না। প্লাস্টিক বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল বলে গণ্য হবে বলেও শর্ত দিয়েছে সরকার।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। বরাদ্দকৃত চাল আমদানির জন্য এলসি খোলার সময়সীমা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এলসি সম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে (sasep@mofood.gov.bd) জানাতে হবে। এক্ষেত্রে বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে আমদানির সব চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খুলতে পারেনি, তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এবার আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। চালের দাম দুর্ভোগে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। এ পরিস্থিতিতে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।