অন্য ছেলের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ায় প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

0
251

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:  

গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) টাঙ্গাইল আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে শাবনুর আক্তার খাদিজাকে বিয়ে করার কথা ছিল আব্দুল খালেকের। কিন্তু ওইদিন শাবনুর আদালতে না গিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়।

এ খবর পরে জানতে পারে খালেক। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (২১ আগস্ট) কোনো এক সময় শহরের সাহাপাড়ায় ভাড়া বাসায় শাবনুরকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় খালেক।

শনিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় খালেক।

এর আগে শুক্রবার রাতে শহরের সাহাপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে শাবনুর আক্তার খাদিজার (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শনিবার ভোরে সদর উপজেলার করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘাতক আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করে। তিনি শহরের কাগমারা এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। নিহত শাবনুর দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনাখোলা গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে খালেক সাহাপাড়ায় শাবনুরের ভাড়া বাসার ঘর বন্ধ করে বাইরে চলে যান। এসময় পাশের ভাড়াটিয়াকে আব্দুল খালেক জানান, শাবনুর ঘুমাচ্ছে, তিনি জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছেন। সারাদিন যাওয়ার পর আশপাশের মানুষের সন্দেহ হয়। তারা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও পুলিশকে ঘটনা জানায়। পরে কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পুলিশ রাত ১০টার দিকে শাবনুরের মরদেহ উদ্ধার করে। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার করটিয়া থেকে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্বাসরোধ করে শাবনুরকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। ওসি আরো জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত শাবনুরের বাবা জাকির হোসেন জানান, গত সপ্তাহে শাবনুর গাজীপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। শাবনুর বিয়ে করেছে কিনা তারা জানেন না।

অপরদিকে আব্দুল খালেকের মা জানান, গত সোমবার (১৭ আগস্ট) খালেক বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। বাড়িতে খালেকের স্ত্রী রয়েছে।